নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর চারঘাটে ৪৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে র্যাব-৫ এর সিপিসি-২ (নাটোর) এর একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার চানপুর কাকরামারী এলাকার পাকা রাস্তায় চেকপোস্ট একটি প্রাইভেট কারে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো- পটুয়াখালীর সদর উপজেলার হাজিখালী গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর আলম, চারঘাটের পিরোজপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে মো. মিনারুল ওরফে মনিরুল (২৪) ও মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক মো. রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানাধীন চানপুর কাকরামারী গ্রামের বাঘা হতে চারঘাটগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট পরিচালনা করে। এসময় বাঘা থেকে চারঘাট অভিমুখে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেওয়া হলে ড্রাইভার ও দুজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। তখন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে প্রাইভেট কারটি তল্লাশী করেপ্রাইভেট কারটির পিছনের ব্যাক ডালার ভিতরে দুটি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিল-৪৯৮ বোতল উদ্ধার করা হয়। অতঃপর উদ্ধারকৃত আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ প্রাইভেটকার-০১ টি, মোবাইল-০৪ টি, সীমকার্ড-০৭টি, মাদক বিক্রয়লব্ধ নগদ ৫০০০ টাকা আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- আটককৃত মো. নুর আলম (৩৮) কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বাড়ী পটুয়াখালী জেলায় এবং সে একজন ড্রাইভার হলেও ছদ্মবেশে প্রাইভেটকারে নিয়মিত মাদক পরিবহন করে থাকে। সে একজন আন্তঃজেলা মাদক চোরাচালানকারী দলের পেশাদার ও সক্রিয় সদস্য। সে প্রাইভেটকারে নিয়মিত মাদকের চালান ঢাকা ও পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। নুর আলম আইন-শৃংখলাবাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্রাইভেটকারের সামনে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেমপ্লেটসহ মনোগ্রাম ব্যবহার করত। তার পিসিআর যাচাই করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আটককৃত মো. মিনারুল ওরফে মনিরুল (২৪) ও মো. হাসিবুর রহমান (২০) জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পলাতক অজ্ঞাত দুজন ব্যক্তির সহায়তায় আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিল ভারত হতে সংগ্রহ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বিক্রি করে। এই ঘটনায় চারঘাট থানায় মামলা রুজু করা রয়েছে বলেও প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পরে আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এএইচ/এস