রাজশাহীতে হারপিকের টয়লেট হাইজিন ক্যাম্পেইন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

“খাওন দাওন ঠিক থাকলেই হইলো, টয়লেট নিয়া এত্তসব চিন্তা-ভাবনা আমরা কেউ করি না। বাড়িতে একটা কুনু রকম টয়লেট থাকলেইতো হয়। পরিষ্কার অপরিষ্কার লিয়া আমাদের মাথা ব্যাথা নাই” – টয়লেট পরিষ্কার রাখার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর মধ্যবিত্ত পরিবারের রোজিনা আক্তার (৩৮)। তিনি জানান, তার এলাকার সব টয়লেটই এমন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন না। বরং এসব ক্ষেত্রে এখনকার স্কুলগামী ছোট ছেলেমেয়েরাই বেশি সচেতন বলে তিনি মনে করেন।

শুধু রোজিনা আক্তারের পরিবারই নয়। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন এলাকায় এমন আরও অনেক পরিবার রয়েছে যারা টয়লেট হাইজিন নিয়ে খুব একটা সচেতন না। এর ফলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু যেমন ডায়েরিয়া, আমাশয়, এবং কলেরাসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। টয়লেটকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখলে এসব রোগব্যাধি থেকে অনেকাংশে দূরে থাকা যায়।

সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত টয়লেট ক্লিনার ব্র্যান্ড হারপিক ডিটুডি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে হারপিকের প্রতিনিধিরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টয়লেট সংক্রান্ত এই স্বাস্থ্য বার্তা ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত হারপিকের পক্ষ থেকে রাজশাহী, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জের প্রায় ৫০ হাজার বাড়িতে গিয়ে এ সচেতনতা দেওয়া হয়েছে।

পুরো মে মাস জুড়ে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে হারপিকের কর্মীরা দেড় লাখেরও বেশি বাড়িতে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ ধরনের ক্যাম্পেইন হারপিক গত কয়েকবছর ধরে করে আসছে। এ ক্যাম্পেইনে হারপিকের প্রতিনিধি দল কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এ সচেতনতা চালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করছে।  আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে টয়লেট হাইজিন বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুসহ একটি বড় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যাবে।

এই সচেতনতা ক্যাম্পেইন সম্পর্কে রেকিট বেনকিজারের প্রোডাক্ট গ্রুপ ম্যানেজার জুবাইর পারভেজ বলেন, “টয়লেট পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেনতার অভাব থাকায় এখনো বিরাট একটি অংশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গ্রামীণ পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে টয়লেট পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করতে পেরে তদুপরি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে”।

স/শ