বুধবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে বিনামূল্যের ঘর বরাদ্দেও টাকা আদায়ের অভিযোগ

Paris
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯ ৯:১৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

একখণ্ড জমি আছে, তবে নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই এমন হতদরিদ্র মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার হাতে নেয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। কিন্তু সেই ঘর পেতে রাজশাহীতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সুবিধাভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে হতদরিদ্রদের জন্য নেয়া এই প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এক খণ্ড জমি আছে, এমন হতদরিদ্র মানুষদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর বাগমারা, মোহনপুর, পবাসহ ৯টি উপজেলায় ২ হাজার ১৭১টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

এক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিটি ঘরের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হয়। তবে প্রভাবশালী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিকট আত্মীয় ও অর্থের বিনিময়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের এই ঘর পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাসের পর মাস ঘরগুলো ফাঁকা, কেউ গুদামঘর, কেউ আবার তালাবদ্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষেরা।

সুবিধাভোগী একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গরীবের জন্য এই ঘরগুলো দিছে, কিন্তু কেন টাকা দিয়ে অন্যজনকে দিবে?

অবশ্য এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও নানা টালবাহানা প্রভাবশালী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কণ্ঠে।

তবে এই প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের।

তিনি বলেন, কেউ স্বজনপ্রীতি করেছে এমন অভিযোগ আসলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাগমারায় ৩৬৬টি, পবায় ২৫০, পুঠিয়া ৩৫টি, চারঘাটে ৪৮টি, দূর্গাপুরে ১২৬টি, বাঘায় ৪৮টি, তানোরে ১২৭টি, মোহনপুরে ৪৯৪টি ও গোদাগাড়িতে ৮টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর