রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে আবদুল কুদ্দুস (৩০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুসের রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। এ মামলায় কুদ্দুসের মা মাসেকা বেওয়াসহ (৫০) আরও তিনজন আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৫ সালের দিকে কুদ্দুসের সঙ্গে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাছ আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের (২৪) বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের ৯ বছরের মাথায় আক্কাছ মিশুক কেনার জন্য ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে।

যৌতুকের এই টাকার জন্য তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর আক্কাছ তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ঘটনাটি তিনি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। হত্যার পর অন্য আসামিদের সহায়তায় স্ত্রীর মরদেহ শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।

রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়ার পর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়। রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইনজীবী ইসমত আরা।

এদিক, রাজশাহী জেলা পুলিশের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা।

তিনি বলেন, অন্য তিনজন খালাস পাওয়াটা ঠিক আছে। তবে আসামি কুদ্দুস ন্যায় বিচার পাননি। তাই ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলেও জানান এই আইনজীবী।

স/অ