রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ডিজিটাল সিটিজেনশিপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থায় সুনাগরিক গড়ে তুলতে হলে ডিজিটাল সচেতনতা জরুরী। আর এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।’

বৃহস্পতিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ডিজিটাল শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেছেন বক্তারা। কর্মশালাটিতে রাজশাহী বিভাগের ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

উক্ত কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মশিহুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকেরা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ডিজিটাল সচেতনতা বিষয়কে তুলে ধরলে শিক্ষার্থী ও তরুণরা উপকৃত হবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নানান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও তরুণরা নানান সময়ে বিপদে পড়ে। আবার ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও এ বিষয়ক শিক্ষা বা সচেতনতা বাড়েনি। ফলে অসঙ্গতি তৈরী হচ্ছে। আর এসব অসঙ্গতি থেকে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে আসতে পারে।’

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মশিহুর রহমান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে আসিফ আহমেদ তন্ময়।

কর্মশালাতে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সাথে স্বাধীন মত প্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার এবং এ সংক্রান্ত আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সবশেষে শিক্ষকরা এই উদ্যোগকে সফল করতে ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিটিজেন শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যক্তিগতভাবে নানাবিধ অঙ্গীকার করেন।

উল্লেখ্য, ডিনেট বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা ও রাজশাহী জেলার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষা বিষয়ক লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং-এর ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম চলবে আগামী কয়েক মাস জুড়ে। এসকল কার্যক্রমের সাথেই চলবে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ “২০২২”। শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এ। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাঁরা জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার। এই শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

জেএ/এফ