রাজশাহীতে সহকারী পুলিশ কমিশনারের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি এসি) সহকারী পুলিশ কমিশনার সাব্বির আহমেদ সরফরাজ হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম ওবায়দুল্লাহ ছেলে। সরফরাজ হোসেন রাজপাড়া থানা সহকারি পুলিশ কমিশনার ছিলেন।

আজ শনিবার তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসার্স মেছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। তবে বর্তমানে তারা রাজশাহী নগরীর ‍উপশহর এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের ডাক্তার অধ্যাপক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার রুমের ভেতর থেকে লাগানো ছিলো। তিনি লাইলন রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে। তার বাবা মো. ওবায়দুল্লাহ আরএমপির কমিশনার ছিলেন। সরফরাজ নগরীর উপশহরের একটি বাসায় স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সরফরাজ। আরএমপির মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে আরএমপির একটি অফিসার্স মেস আছে। সেখানে একটি কক্ষে মাঝে মাঝে গিয়ে বিশ্রাম করতেন পুলিশ কর্মকর্তা সরফরাজ। শনিবার সকালে ওই কক্ষেই তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

ইফতেখায়ের আলম আরো জানান, জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সরফরাজের লাশ পাওয়া গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধারের প্রস্তুতি চলছে।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লাশটি উদ্ধার করা হয়নি। অফিসার্স মেসটির ভেতরে আরএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা অবস্থান করছেন। মেসের ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

স/আ