রাজশাহীতে শিশুসহ মাকে অপহরণ: সেই এসআই ও তার স্ত্রী অধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে শিশু ও তার মাকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠলেও সেই এসআই ও তাঁর স্ত্রীর এখনো অধরা। মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডসহ তদন্তে তাদের নাম উঠে এলেও ওই এসআই ও তাঁর স্ত্রীকে রবিবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

তবে একই ঘটনাই হাজতবাস করতে হচ্ছে বাউল শিল্পী ডলারসহ আরো একজনকে। যদিও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে ডলারের জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাইনি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। রিমান্ড শেষে আদালতে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে।

তবে রাজপাড়া থানার সাবেক ওই এসআইয়ে স্ত্রীকে গ্রেপ্তারে রবিবারো নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা।

তিনি সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, এসাইকে গ্রেপ্তারে এখনো অনুমতি মেলেনি।  তবে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হয়তো আজ-কালের মধ্যেই গ্রেপ্তার সম্বভ হবে।

গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, ডলারের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য না পাওয়ায় তার জামিনে বিরোধীতাও করা হয়নি আদালতে গিয়ে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকা থেকে সবনাম সুলতানা পাখি নামের এক গৃহবধূ তাঁর ৮ বছরের মেয়েসহ নিখোঁজ হোন। এ ঘটনার পরে ওইদিনই গৃহবধূর সাবেক স্বামী আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (অপহরণ) একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা দায়েরের পর পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারে মাঠে নামে।

মামলায় বাউল শিল্পী ডলার, তাঁর পরিচিত সাইফুর রহমান ডেভিড ও ডেভিডের স্ত্রী নুপুরকে আসামি করা হয়। এরপর ভিকটিম পাখির মোবাইলের কললিস্ট ধরে আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। তাদের মধ্যে ডলার আত্মসমর্পণ করেন ও অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার নথিসূত্র মতে, ডলার, ডেভিড ও নুপুরকে পুলিশকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে। কিন্তু তাদের নিকট থেকে তেমন কোনো তথ্য আদায় করতে পারেনি। এই ঘটনার সঙ্গে বাউল শিল্পী ডলার জড়িত নাই-এমনটিও প্রায় নিশ্চিত হয় পুলিশ। তবে ভিকটিমের কললিস্ট ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার সাবেক এক এসআই ও তাঁর স্ত্রী জড়িত রয়েছে।

এরপর পুলিশ ওই এসআইএয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা বলেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। এমনকি তাঁর স্ত্রীও বিষয়টিও এড়িয়ে যেতে থাকেন। অথচ ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ তাঁর সঙ্গে ভিকটিম পাখি অপহরণের দিন থেকে শুরু করে তার আগে ও পরে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে ভিকটিমিরে মোবাইল ফোন এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ভিকটিমকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

স/আর