নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক লাখ টাকা না দেওয়া দুই কলেজছাত্রকে ছিনতাই মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। যে ‍দুই কলেজ ছাত্রকে এ হয়রানি মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগে এই ধরনের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের লোকজন বলছেন, তারা লেখাপড়া করে। এর বাইরে কিছু করে না। আটকের পরে ফাহিমের মা থানায় গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে সিল্কসিটিনিউজ অফিসে ফাহিমের মা ফারহানা ও মাহিমের মা ফাতিহা এই অভিযোগগুলো করেন।

আটককৃত কলেজছাত্ররা হলেন, নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার মোস্তাফার ছেলে ফাহিম (১৭)। সে পঞ্চবটি এলাকার বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া মাহিম (১৬) নগরীর বন্ধগেট এলাকার মাইনুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া বরেন্দ্র কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ফাহিমের মা ফারহানা ও মাহিমের মা ফাতিহা বলেন, পুলিশ কোন অভিযোগ ছাড়ায় তাদের কলেজ পড়ুয়া দুই খালাতো ভাইকে আটক করেছে। এসময় পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, ফাহিম ও মাহিমকে ছিনতাইকারী সন্দহে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ আরো বলে, বেশ কিছুদিন আগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেই ছিনতাই তারা ঘটিয়েছে। সেই জন্য আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।

ওই দুজনের মা আরো বলেন, পুলিশ তাদের জানিয়েছে যারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে তারা এদের সনাক্ত করেছে। তাই তাদের আটক করে রাখা হয়েছে। মাহিমের মা ফাতিহার কাছে লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া ফাহিম ও মাহিমকে থানায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে তাদের মায়েরা জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, তাদের পুরানো ছিনতাই মামলায় চালান দেওয়া হবে। তাদের ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদের সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী হিসেবে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময় ছিনতাই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাদের পুরনো মামলায় চালান দেওয়া হবে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, কাউকে আটক করা হলেই পরিবার থেকে তাদের নির্দোষ দাবি করা হয়। তারপরেও এই ধরনের অভিযোগ থাকলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে পারেন। সেটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/আর