শিক্ষাবোর্ডে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

রাজশাহীতে রংপেন্সিলে ফুটে উঠলো বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে রংপেন্সিলে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপস্থাপন করলো শিশুরা। বুধবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চত্বরে ঘণ্টাব্যাপি এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছেন। এ সময়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশ পুর্নগঠনে ভবিষ্যতের সকল ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিয়েছেন, এটি বিষ্ময়কর।

বোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন শিশু রাষ্ট্র হিসেবে পথচলা শুরু করে তখন উন্নত দেশগুলো আমাদের টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিল। আজ বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে আমরা নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরে মাথা উঁচিয়ে গৌরবের সঙ্গে বসবাস করছি। আমরা পারি তা প্রমাণ করেছি। এখন আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছি। তোমরা শিশুরা শতবর্ষ উদযাপন করবে। বঙ্গবন্ধুর সুখী, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক, শক্তিশালী দেশ গঠনের যে স্বপ্ন তা পূরণ করবে।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় রাজশাহী শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ছয় জন ছাত্র ও ১৪ জন ছাত্রী ‘বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে। শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুন তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বিষয়গুলো আমাদের মনে সব সময় জাগ্রত থাকে। এই বিষয়ের উপর ছবি আঁকতে আমাদের ভালো লাগে। আজকেও ছবি আঁকলাম। আমার খুবই ভালো লাগছে।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড সচিব হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম, বোর্ড অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মঞ্জুর রহমান খান, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের এডুকেটর শামসুন্নাহার, কেন্দ্রের লাইফ স্কিল ট্রেইনার কাম জব প্লেসমেন্ট অফিসার জহুরুল হক প্রমুখ।

এএইচ/এস