রাজশাহীতে যুবককে গাছে বেধে জমি দখল করে দেওয়ার হুমকি ওসির


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবককে গাছে বেধে রেখে একটি বিবাদমান জমি দখল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আলীর বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী যুবক সাদ্দাম হোসেন গতকাল শনিবার রাজশাহী মেটোপলিট পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। ওই জমির একটি অংশ পড়েছে পুকুরের মধ্যে। চন্দ্রিমা থানার ওসি সেই পুকুরটিও প্রতিপক্ষের লোকজনকে ভরাট করে নিতে সহযোগিতা করবেন বলেও হুমকি দেন সাদ্দমকে। অথচ নগরীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সকল ধরনের জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলী বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি সঠিক নয়। বিবাদমান জমিটি নিয়ে যেন আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দখল করতে সহযোগিতা করার বিষয়টিও সঠিক নয়।’

অভিযোগে বলা হয়, তাঁর পিতা বাবর আলী ১৯৯২ সালে নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার মেহেরচন্ডি মৌজাতে প্রায় ৩৮ শতাংশ জমি কেনেন। এর মধ্যে ২৪ শতাংশ জমি দখল করার চেষ্টা করছেন প্রভাবশালী সফর আলীর ছেলে জনি। সম্প্রতি তিনি ওই জায়গাটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়াও পুকুরের অংশ ভরাট করার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেওয়ায় জনি পুলিশের আশ্রয় নেন।

এরপর চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলী সাদ্দামকে গত ২ অক্টোবর থানায় ডেকে নিয়ে ওই জায়গার দখল ছেড়ে দিতে হুমকি দেন। দখল ছেড়ে না দিলে অথবা আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে না নিয়ে আসতে পারলে সাদ্দামকে গাছে বেধে জমির দখল জনিকে করে দিতে সহযোগিতা করবেন বলেও হুমকি দেন ওসি। ওসি ইমরান আলীর ওই হুমকির একটি রেকর্ডও দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, থানায় ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়ার পর সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর সাদ্দামের বাড়িতে এসে আবারও হুমকি দেন ওসি। এতে তিনি তাঁর ওই জমিটি নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।

বিষয়টি নিয়ে বাধ্য হয়ে তিনি গতকাল শনিবার মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানতে চাইলে মহানগর পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ আমি এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’