রাজশাহীতে যুবককে এলোপাতাড়ি কোপালো প্রতিপক্ষরা (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে গুরুতর জখম ওই যুবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত যুবকের মা বাদী হয়ে বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

আহত ওই যুবক হলেন মো. শফিকুল ইসলাম সুমন (২৬)। তিনি নগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার মো. মোমিনুল ইসলামের ছেলে।

আসামিরা হলেন, নগরীর হড়গ্রাম কোর্ট কলেজ এলাকার ফজলে রাব্বীর ছেলে কনক, হড়গ্রাম নতুনপাড়ার খসরুর ছেলে সজল, নিয়ামতের ছেলে ডিপলু, বদরের ছেলে সোহাগ, মৃত আবু বকরের ছেলে হাবিব, রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জ ল্যাটাপাড়ার আতিকুলসহ ১৪-১৫ জন। এছাড়া অজ্ঞাত আরো দশ/বারো জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে রাজশাহী নগরীর ২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ের সামনে বন্ধুদের সাথে বসে ছিলেন শফিকুল ইসলাম সুমন । এসময় ১৪-১৫ জনের একটি দল এসে শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার বন্ধুরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। এসময় শফিকুলকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষরা চাপাতি, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, চাপ্পড় ও ছুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। শফিকুলের মাথা গুরুতর জখম হয়। এলোপাতাড়ি কোপে তার দুই হাত, পা ও পিঠে গুরুতর জখম হয়। এসময় শফিকুল চিৎকার দিলে পাশ থেকে তার মাসহ স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। এতে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় শফিকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠদের ১৪ জনসহ অজ্ঞাত আরো দশ/বারো জনের নামে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন আহত যুবকের মা সেলিনা বেগম। এতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বলেন, মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

স/শা