রাজশাহীতে মুহুর্তে রেলের টিকিট শেষ; কাউন্টারে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


তারা সবাই শিক্ষার্থী। তাদের শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা; তাই খুব সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এসেছেন কিটিক কিনতে। আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) টিকিট প্রত্যাশায় দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘ কেটে তাদের। হঠাৎ টিকিট বিক্রি শুরু; হঠাৎই শেষ। এমন কাণ্ডে টিকিট প্রত্যাশীরা কাউন্টারের কর্মীদের সাথে বাক-বিতান্ডায় জড়িয়ে পড়েন। টিকিট পাওয়ার আর; বাক বিতান্ডার সমাধানের জন্য জিএম অফিসে নিয়ে আসা হয় টিকিট প্রত্যাশীদের।

টিকিট প্রত্যাশী আমিমুল এহসান মুকিদ জানান, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে জিএম অফিস থেকে পাঠানো হয় তাদের। সেখান থেকে ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুণ্ডর কাছে আসতে হয়। সেখানে টিকিট প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলেন ডেপুটি চিফ কর্মাসিয়াল ম্যানেজার।

এসময় কুণ্ড জানায়, ট্রেনে একটি বগি পাকশী অথবা সৈয়দপুরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সাভিসিং হবে। তাই ওই বগির ১০৫টি টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে। এছাড়া স্টেশনের বরাদ্দ আর অনলাইনের টিকিট বিক্রি বাদ দিলে থাকে মাত্র ১০টি টিকিট। এই ১০টি টিকিট রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বিক্রির জন্য। অর্থাৎ কাউন্টার থেকে এই ১০টি টিকিট বিক্রি হবে।

মুকিদ আরো জানান, কর্তৃপক্ষ বলছে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য ১০ টিকিট বরাদ্দ আছে। কিন্তু সেই ১০টি টিকিট বিক্রি করেনি তারা। সকালে লাইনে দাঁড়ানের পরে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। মাত্র কয়েকটি টিকিট বিক্রি করে কাউন্টার থেকে জানায়-টিকিট শেষ।

কয়েকজন টিকিট প্রত্যাশীরা জানায়- সংশ্লিস্ট দফতরে আসলে তারা সাতটি টিকিট বিক্রির হিসেব দেয়। বাকি তিনটি টিকিটের হিসেব দিতে পারেনি। পরে আমরা (টিকিট প্রত্যাশীরা) অবস্থান নিলে কর্তৃৃৃৃপক্ষ শুক্রবার বনলতা এক্সেপ্রেস ট্রেন চালুর কথা জানায়। তবে এখন পর্যন্ত কোন সিন্ধান্ত হয়নি।

রেলের ক্রেইন ইন্সপেক্টর মেহদী হাসান জানান, টিকিট প্রত্যাশীদের চাকরির পরীক্ষা ছিল। তারা রেল স্টেশনে টিকিট না পেয়ে এখানে এসেছিলেন; বিষয়টি তাদের বোঝানো হয়েছে। এছাড়া তারা একটি দরখাস্তও দিয়েছে শুক্রবার বনলতা ট্রেন চালানোর বিষয়ে। এই বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখনও ট্রেন চালানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুণ্ড জানান, সিল্কসিটি এক্সেপ্রেস ট্রেনের একটি বগি সাভিসিং করতে পাঠানো হয়েছে। তাই ওই বগির টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে। এছাড়া স্টেশনের বরাদ্দ আর অনলাইনের টিকিট বিক্রি বাদ দিলে থাকে মাত্র ১০টি টিকিট। এই ১০টি টিকিট রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়।

স/আ