রাজশাহীতে ‘ভুঁইফোড়’ প্রেসক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে: মেয়র লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ চারজনের ওপর সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজদের হামলার ঘটনায় চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্দোলনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

এ সময় রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় প্রেসক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মেয়র।

রাজশাহী সংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

মেয়র লিটন এসময় বলেন, ‘সাংবাদিকতা এক মহান পেশা। মহান পেশাকে যাতে কেউ কলুষিত করতে না পারে সেজন্য সকলে সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সম্প্রতি ভুঁইফোড় কিছু সাংবাদিকের হাতে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত হওয়াযর ঘটনা ঘটেছে। আমি এই ঘটনায় প্রচন্ড মর্মাহত হয়েছি। সময় এসেছে অপসাংবাদিকতা রুখে দেয়ার। তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ভুঁইফোড় প্রেসক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় দায়িত্ব অবহেলাকারী বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মনকে দ্রুত অপসারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মেয়র লিটন।

নগরপিতার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

এসময় রফিকুল ইসলাম বলেন, নগরপিতার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত করলাম।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী গিয়াস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ইবনে ওয়াইদ, কার্যনির্বাহী সদস্য বদরুল হাসান লিটন, শরিফ সুমন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স/অ