রাজশাহীতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, গভীর রাতেও ভোগান্তিতে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কাটাখালী পাওয়ার গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারে রয়েছে রাজশাহী নগরীর অধিকাংশ এলাকা। এতে গভীর রাতেও ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।

এতে তীব্র গরমের মধ্যে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। শরিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তও নগরীর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে সময় অতিবাহিত করছেন।  রাজশাহী মহানগরের তেরোখাদিয়া, উপশহর, দরিখরবোনা, নতুন বিলসিমলা, ভদ্রা, ছোটবনগ্রাম, শিরোইল কলোনী কাদিরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই নেমে আসে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এদিকে গরমও পড়েছে বেশ। সব মিলিয়ে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দিশেহারা নগরবাসী। রাত দেড়টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।

রাজশাহীর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ঈদের আগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। ক্রেতারাও পড়েছেন ভোগান্তির মধ্যে। এতে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। তিনি অতি দ্রুত পুরো নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।

রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গরমের মধ্যে নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বিদ্যুৎ সমস্যার ব্যাপারে তারা মুখ খুলছেন না। ফলে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ  দেখা দিয়েছে।

তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলো না। আবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলো না। কখন আসবে জানি না।

এই ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলী বলেন, ‘কাটাখালী গ্রিডে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যান্ত্রিব ক্রুটি দেখা দেয়। এরপর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

তিনি জানান, কাটাখালি গ্রীডের সিটি কয়েল পুড়ে গেছে। কাজ চলছে। তবে দ্রুত নগরীতে বিদ্যুত পরিস্থথিতি স্বাভাবিক হবে।

স/আর