রাজশাহীতে বাল্যবিয়ের ‘রেড কার্ড’ পেল ১৬৮ কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ১৬৮ জন কিশোরীকে দেওয়া হয়েছে বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তির ‘রেড কার্ড’। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১২, ১৩, ২০, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরীদের মাঝে বাল্যবিয়ে রোধে এ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টে স্বেচ্ছাসেবী বহুমুখী মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি (এসবিএমএসএস) এর আয়োজনে ও একশান এইউ বাংলাদেশের সহযোগিতায় আলোর ঠিকানা প্রকল্পের আওতায় এ কার্ড বিতরণ করা হয়।

জানা গেছে, রাসিকের এই সকল এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এই সব ওয়ার্ডে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সের কিশোরীদের মাঝে ‘রেড কার্ড’ বিতরণ করা হয়। এই কার্ডে রয়েছে থানা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নম্বর। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলদের কাছে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সের কিশোরীর নামের লিস্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে কোন কিশোরীর পরিবার চাইলেও জোরপূর্বক মেয়ের বাল্যবিয়ে দিতে পারবে না। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়েও রয়েছে কিশোরীদের কমিটি। কমিটির কিশোরীরা এলাকার মানুষদের বোঝায় মেয়েদের বাল্যবিয়ে না দিতে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেনী বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা জরুরি। বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণের মধ্যে দারিদ্র ও শিক্ষা বড় বিষয়। তাই বাল্যবিয়ে রোধে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেনতা সৃষ্টি করতে হবে। বাল্যবিয়ের সর্বনাশা পথ থেকে কিশোরীদের মুক্ত করে আলোর পথ দেখাতে সমাজের প্রতিটি মানুষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

স্বেচ্ছাসেবী বহুমুখি মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি এসবিএমএসএস নির্বাহী পরিচালক নূর-এ-জান্নাতের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ৯, ১১, ১২ নম্বর ওর্য়াড সংরক্ষিত কাউন্সিলর শিরিন আরা খাতুন, রাসিক ২৬, ২৭, ৩০ নম্বর ওর্য়াড সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুলতানা রাজিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোকসেদুল ইসলাম প্রমুখ।
‘রেড কার্ড’ নেওয়া শিক্ষার্থী সিতু সরকার বলেন, আমি রাজশাহীর সাবিত্র স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া-শোনা করি। পড়া-শোনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বাল্যবিয়ে করা বা দেওয়া দুই-ই অপরাধ। বাল্যবিয়ের পরে সংসার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

স/শা