রাজশাহীতে পুলিশি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ৭ বছর পর আদালতে হত্যা মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যুর সাত বছর পর রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) মর্জিনা রহমান (৫০) নামের এক নারী তার স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এই মামলার আবেদন জমা দিয়েছেন।

মর্জিনা নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার আর্জিতে মর্জিনা তার স্বামীকে নির্যাতনে করে হত্যার অভিযোগ এনেছেন। আর্জিতে চার পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ আছে। এছাড়া নাম না জানা আরও চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার মো. শামসুদ্দিন, বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন খন্দকার, নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক আশিকুর রহমান এবং বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি আইনুর রহমান মুক্তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ২৭ জানুয়ারি আইনুর রহমান মুক্তাকে উপশহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে শারীরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত আইনুর রহমান মুক্তারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ স্বজনদের লাশ হস্তান্তর করলেও দাফন না হওয়া পর্যন্ত তারা পাহারায় ছিল।

বাদীর আইনজীবী মাইনুল আহসান পান্না বলেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের পর মর্জিনার স্বামীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাই হেফাজতে মৃত্যুর আইনে মর্জিনা মামলার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনো আদেশ দেননি। পরে আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন।

স/আর