রাজশাহীতে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে তেল

নিজস্ব প্রতিবেদক:


কয়েক মাসের ব্যবধানে বাড়তি ছিল তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়ায় দেশি বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে গত মঙ্গলবার সরকারিভাবে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যার কারণে বিক্রেতাদেরকে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করার ফলে ক্রেতারা নিচ্ছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। তেলের দাম নির্ধারণ করা হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। তবে এক দুই টাকার হেরফেরে কমেছে সবজির দাম।



শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করার পরে বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১১৫ টাকা থেকে ১১৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১১৮ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কয়েক মাসের মধ্যে চালের দাম অনেকটাই কমে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন ব্যবসায়ীরা। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। এছাড়া মিনিকেট চাল ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকা, গুটি স্বর্ণা চাল ৪৩ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, সুমন স্বর্ণা চাল ৪৫ টাকা থেকে ৪৬ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা, নাজিশাল চাল ৭০ টাকা এবং বাসমতি চাল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডালের মধ্যে- মসুরের ডাল ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকা, কালায়ের ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর সবজিপট্টি ঘুরে দেখা যায়, শীতকাল শেষের প্রভাব অনেকটাই পড়েছে সবজির বাজারে। শীতকালীন সবজিতে আগের মতো দাম পাচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী শুকুর আলী জানান, শীতের সবজি আর আগের মতো চলেনা। জমি থেকে সব সবজি তুলে ফেলা হয়েছে- যার জন্য সবজির দাম এখন অনেকটা কম আছে। যে সবজির আমদানি কম আছে, সেই সবজির দাম বাড়তি। তাছাড়া অন্য সবজিগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম আছে।

বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, সালগম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, শীম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, মটরশুটি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, শশা ২৫ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, আদা ৬০ টাকা। প্রতিপিচ ব্রকলি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা এবং এক হালি কলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, সবুজ শাক এবং পালং শাক আঁটি প্রতি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খেসারির শাক ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং পুই শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে মাছ মাংসের দামে বেশি হেরফের দেখা যায়নি। বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি মাছ ৫৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, রুই মাছ ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, মিরকা মাছ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ টাকা, শৈল মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, সিলওয়ার কার্প মাছ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মধ্যে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, বয়লার মুরগি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।