রাজশাহীতে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রায় সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম (প্রকারভেদে) কেজিতে ৩ টাকা থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সোমবার রাজশাহী মহানগরীর বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে নিত্যপণ্যের বাজার উর্ধ্বমুখীর তথ্য উঠে এসেছে।

সরেজমিনে সোমবার নগরীর নওদাপাড়া কাঁচাবাজার, শালবাগান, সাহেববাজার, লক্ষীপুর, সাগরপাড়া কাঁচাবাজার, কোর্ট বাজার, শিরোইল কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি করল্লা ৮০ টা থেকে ১০০ টাক, কাঁচাকলা হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিচ ২০ থেকে ২৫টাকা, আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, পিয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। রসুন, ডুমুর, মুলা, ওলকপির অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে পটল ও মটরসুটির।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- মুরগির মাংসের দাম অপরিবর্তি থাকলেও বেড়েছে গরু ও খাশির মাংসের দাম। গত সপ্তাহে গরুর মাংস কেজিতে ৫৫০-৫৬০ টাকা বিক্রি হলেও সোমবার বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১০০টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিম ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ও সাদা ডিম ৩০ টাকা থেকে সোমবার ৩২ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। সব ধরনের মাছের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন মুদির দোকান ঘুরে দেখা গেছে- নিত্যপণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। বাশমতি চাল গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৭৬ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, ইরি-২৮ চাল ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৮টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মশুর ডাল ১১০ থেকে ১২০টাকা, দেশি বুট ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা দেশি চিনি ৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা কেজি। পাম ওয়েল ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০টাকা, সয়াবিন তেল খোলা ১৪০ টাকা থেকে ১৪৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৮টাকা। এছাড়া লবন ২৮টাকা থেকে ৩২ টাকা, সুজি ৫৬ টাকা থেকে ৬৪ টাকা হয়েছে। তবে আটা ও ময়দার দাম কিছুটা অপরিবর্তিত রয়েছে। সব ধরনের মসলাম দাম অপরিবর্তিত থাকলেও জিরার দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। দামের কেজি প্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে গত সপ্তাহে সয়াবিন তেল ছিল ১৫৬-১৫৮ গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩ টাকা কেজি । এছাড়া সরিষার তেল ২০০-২২০ লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। লবণ,২৮ কেজি চিনি, ৭৪-৭৫ টাকা কেজি, আটা ৩২- ৩৪ কেজি ।

নগরীর সাহেব বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে আসা হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু যারা যে পেশায় রয়েছেন তাদের বেতন কিন্তু বাড়ছে না। সরকারকে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পযায়ে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার অজুহাতে অতিরিক্ত দাম রাখলে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছি। জনস্বার্থে আমাদের এই অভিযান নিয়মিত চলবে।’

এএইচ/এস