বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন(ভিডিও)

Paris
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯ ১:৫১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে বিশেষ প্রার্থনা ও নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিটি চার্চে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ সময় চার্চের মধ্যে সবাই গেয়ে উঠেন। ‘ঊর্ধ্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা এবং পৃথিবীতে তাহার প্রিয়পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।’

 

বড়দিন উপলক্ষে রাজশাহীর খ্রিস্টান সম্প্রদায় বেথলহেমের সেই আবহ সৃষ্টি করতে তাদের বাড়িতে তৈরি করেছেন প্রতীকী গোশালা।

রাজশাহী মহানগরীর বাগানপাড়া সংলগ্ন উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল চার্চের ফাদার পল গোমেজ জানান, একই সময়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয় দ্বিতীয় বড় উপাসনালয় বাগানপাড়া চার্চেও। বিশেষ উপাসনা শেষে দুপুরে রয়েছে প্রীতিভোজ। এছাড়া সিটি চার্চ ও ডিঙ্গাডোবা চার্চসহ মহানগরীর অন্যান্য উপাসনালয়ে আজ রাতে যিশু খ্রিস্টকে স্মরণ করে প্রার্থনা করা হবে। এতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হবে।

বিশপ জার্ভাস রোজারিও

এদিকে, গির্জা ও হোটেলেগুলো বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জায় সেজেছে। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন করে। গির্জা ও অভিজাত হোটেলগুলোতে টুকটুকে লাল পোশাক পরা সফেদ দাড়ি-গোঁফের বুড়ো সান্তা ক্লজ উপহারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোট্ট সোনামণিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মজার মজার উপহার।

বিশপ জার্ভাস রোজারিও বলেন, বড়দিন মানেই শান্তির উৎসব। বড়ই আনন্দের দিন। আজকের দিনে যীশু খ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন। ঠিক জন্মের পরই রাজা হেরজ তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। এটাই সন্ত্রাস বাদের একটি উদাহরন বলা যেতে পারে। এ কারণে শিশু যীশুকে বেথলহেম ছেড়ে অভিবাসনে যেতে হয়েছিল। তাই আমরা আজ অভিবাসীদের কথা স্মরণ করছি এবং তাদের নিরপত্তার বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ অভিবাসীরা আমাদের অতিথি আর সব ধর্মেই অতিথিদের বরণ করে নিতে বলা আছে। এ বছর এটাই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, যীশু খ্রিস্ট জন্মের পরেই হুমকির মুখে পড়েছিলেন। এমন হুমকি বর্তমানে আমাদের মধ্যে আছে। মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস বাদের আশ্রয় নিচ্ছে। যার যার ধর্ম সে যেন নিরাপত্তার সাথে পালন করতে পারে সে অধিকার সবার আছে। সে সুযোগ যেন থাকে। কিন্ত ধর্ম নিয়ে যেন একে অপরের মধ্যে হানাহানি, হত্যাকাণ্ড না হয়। কিন্তু ভারতের বর্তমান সরকার যা শুরু করেছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং এটি মোটেও কাম্য নয়। রাজনৈতিক স্বার্থ আর ক্ষমতার হাসিল করতেই মোদি ধর্মীয় অশান্তি বাঁধিয়েছেন। আমরা চাই ধর্ম নিয়ে বিড়ম্বনা না করে ভারত সরকার যেন শান্তিপুুর্ণভাবে সকল ধর্ম পালন করার সুযোগ দেয়।

https://www.facebook.com/silkcitynewscom/videos/783863515463837/?t=1

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর