রাজশাহীতে ধূলাঝড়ে নাকাল মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ধূলাঝড়ে নাকাল অবস্থা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয়েছে এ ঝড়। বিকেল চারটার দিকে এ প্রতিবেদন তৈরীর সময়ও ঝড় ছিলো। এর ফলে বাতাসের সঙ্গে ধূলা উড়ছে। ধূলার কারণে রাস্তায় চলা-চলের সময় ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারিরা।

সকাল থেকে নগরীতে আবহাওয়া বিরূপ দেখা যায়। বাতাসের কারণে সকাল থেকে রৌদের তেমন প্রভাব বা গরম ছিলো না। তবে ধূলাঝড়ে রাস্তা ও বাড়িঘরে বালুর আস্তরণ পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ ঝড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রীণ প্লাজায় স্বাধীনতা দিবসের প্যান্ডেলের পর্দার একটি অংশ উড়ে গেছে।  এছাড়া নগরীর দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, হেতেম খাঁ, উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ সময় ধরে ছিলো না বিদ্যুৎ । এছাড়া বিদ্যুৎ আসলে বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।

নগর ভবন এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথযাত্রী মো. শরিফুজ্জামান জানান, ধূলাঝড়ে শুরু হওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বাতাসের কারণে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বালুতে হেঁটে যাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। সকাল থেকে নগরীতে মেঘলা আকাশ ও বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। প্রাকৃতিক আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় রিকশা বা অটোরিকশার সংখ্যা মনে হচ্ছে কম। রাস্তায় অটোরিকশা কম চলাচল করতেও দেখা যায়।

নগরীর তেরোভমখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এভাবে দীর্ঘক্ষণ ধূলাঝড় এর আগে কখনো দেখিনি। ঝড়ের কারণে ঘর-বাড়িও ধূলার আস্তরণ পড়ে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৬ থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে রাজশাহী বিদ্যুৎ অফিসের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলছে, বাতাসের কারণে গাছের ডাল তারের সঙ্গে লাগছে। তাই বিদ্যুৎ থাকছে না। আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।

স/আর