রাজশাহীতে দু’দিনে তিন কোচিং সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহীতে দুইদিনে তিন কোচিং সেন্টার সিলগালা করেছে প্রশাসন। এরমধ্যে নগরীতে দু’টি ও কাটাখালী এলাকায় একটি। এসময় নগরীর দু’টি কোচিংকে দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোচিংগুলো হলো- নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড় এলাকার শিমুল মোমোরিয়াল ও মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার শাহিন স্কুল।

প্রশাসন কোচিংগুলোকে জরিমানা ও সিলগালা করে। তবুও বন্ধ হয়নি সবগুলো। কোচিংবাজ শিক্ষকদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানাতে পারছে না প্রশাসন।

শাহিন স্কুলের পরিচালক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘মূল পরীক্ষাগুলো শেষ তাই কোচিং খুলেছি।’ কোচিং বন্ধে মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনার বিষয়ে তিনি বলেন,‘আমি জানি। কিন্তু দু’দিন ধরে খুলেছিলাম।’

অন্যদিকে, রাজশাহী নগরীতে অনেকটাই হরহামেশাই চলছে কোচিং। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে সবধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধের। সেই থেকে সারা বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা মিলে দুই মাস কোচিং বন্ধের নিদের্শনা আসে মন্ত্রণালয় থেকে। তার পরেও অর্থলোভি ও কোচিংবাজ এক শ্রেণির শিক্ষকরা তা মানতে নারাজ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকার জেনুইন মডেল অ্যাকাডেমি সিলগালা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চৌধুরী জেনুইন মডেল অ্যাকাডেমির মালিককে না পেয়ে সিলগালা করে দেন।

রাজশাহী নগরীতে কাদিরগঞ্জ দড়িখড়বোনা এলাকায় ইংরেজি কোচিং চালাচ্ছেন আজাদ নামের এক শিক্ষক। এছাড়া বিজ্ঞান কোচিং পড়াচ্ছেন শিক্ষক রুহুল ও একই এলাকায় কোচিং চালাচ্ছেন অণিক নামের এক শিক্ষক। এছাড়া বিনোদপুর এলাকায় রহমান ডেকোরেটরের পাশে দুই তলা বিল্ডিংয়ে কোচিং চালানো হচ্ছে। কোচিংটিতে বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকে। আর ভেতরে শিক্ষর্থীদের পড়ানো হয়। এছাড়া সকালের দিকে নগরীর কাটাখালী এলাকায় বেশ কিছু কোচিং চলছে। কোচিংগুলোর মালিকরা সাতটা থেকে ব্যাচ শুরু করে।

প্রসঙ্গত, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। তাই ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবধরণের কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

স/আ