রাজশাহীতে শিক্ষকের কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেল ২ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহীতে এক কলেজ শিক্ষকের কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে দুই পুলিশের চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন নগরীর চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মোমেন ও কনস্টেবল মুর্ত্তুজা। অভিযোগকারী আশরাফুল আলম রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ সরকারী কলেজের শিক্ষক।

ভূক্তভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন আশরাফুল আলম। এ সময় শিরোইল এলাকায় আগে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাসহ দুই পুলিশ তার গতিরোধ করেন এবং মহিলাটিকে বাজে কমেন্ট করেছি বলে অভিযোগ তোলেন। এ সময় শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দেওয়ার নাম করে আশরাফুল আলম তাদেরকে ভদ্রা মোড়ে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ওই দুই পুলিশকে ওসির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কনস্টেবল মুর্ত্তুজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন. ‘আসলে বিষয়টি সেই রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতেই চাইছে না।’ বিষয়টি কি রকম জানতে চাইলে তিনি চুপ ছিলেন। তবে এএসআই মোমেন সবার নজর এড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তবে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স/র