রাজশাহীতে টিস্যু কালচার বীজে আলু চাষীর সাফল্য

আবু সালে মো. ফাত্তাহ:

রাজশাহীতে কৃষকরা নেট হাউজে টিস্যু কালচারের আলু উৎপাদন করে আসছে। এমনই একজন টিস্যু কালচার বীজ আলু চাষী পবা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে শিক্ষিত যুবক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি ২০০৮ সাল থেকে নেট হাউজে টিস্যু কালচারের বীজ আলুর চাষ করে আসছে।

 

প্রথম দিকে তিনি অল্প জমিতে আলু চাষ করলেও বর্তমানে তার এই বীজ আলু চাষ প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে।  তার গড়ে তোলা  কাজী এগ্রো সীডস্ এর বীজ আলু এখন বিভিন্ন জেলার কৃষকরা কিনে থাকেন। এবার তিনি নেট হাউজে টিস্যু কালচারের ১৩ হাজার অনুচারা বা প্লান্টলেট লাগিয়েছে। আর  ৮ বিঘা জমিতে প্রি ফাউন্ডেশন, ২৫ বিঘা জমিতে ফাউন্ডেশন ও ৩০ বিঘা জমিতে প্রত্যায়িত বীজ আলুর চাষ করেছে। তার আলুর আবাদও ভালো হয়েছে।

 
পবা উপজেলার মল্লিকপুর ও হরিয়ান এলাকায় তার এই টিস্যু কালচারের নেট হাউজ পরিদর্শন করেন বিভিন্ন এলাকার ও জেলার আলু চাষীরা। তিনি সফল হয়েছেন বীজ আলু করে।  রাজশাহী, বগুড়া ও জয়পুর হাটের চাষীরা তার মাঠ পরিদর্শন করে বীজ নিয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে বীজ নিয়ে লাভবান হয়েছেন বিভিন্ন জেলার কৃষকরা।

 

আলুর মাঠ পরিদর্শন করে বগুড়ার দুপ চাচিয়া উপজেলার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ৩ বছর ধরে বীজ নিয়ে আবাদ করছি। এই বীজ ভাল। যার কারণেই ফলনও ভাল হয়েছে।

 

জয়পুরহাটের খেতলাল উপজেলার আলু চাষী ইউনুছ আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে এই বীজ নিয়ে আবাদ করছি। বিঘাপ্রতি ১২০ মন থেকে ১২৫ মন হারে আলুর ফলন হয়। রাজশাহীর পবা উপজেলার ফরুক হোসেন বলেন, তারাও এখান থেকে বীজ নিয়ে লাভবান হয়েছে ।
টিস্যু কালচারের বীজ আলু চাষী  আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে আলু চাষ করে আসছে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে নেট হাউজে টিস্যু কালচারের বীজ আলুর চাষ করে আসছে। এখান থেকে উৎপাদিত বীজ কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে তিনি লাভবান ও সফল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের বীজ আলু রাখার জন্য আরো ভালো কোল্ড স্টোরেজ দরকার। তাহলে কৃষকরা আরো লাভবান হবে।

স/আর