রাজশাহীতে এসআইয়ের বিরুদ্ধে স্ট্রোকের রোগীকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী নগরীর কর্ণহার থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে স্ট্রোকের এক রোগীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই রোগীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম জোহুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি নগরীর কর্ণহার থানার তেুতলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। এছাড়াও জোহুরুলের এসএসসি পাশ করা ছেলে নুরুল ইসলামকেউ ধরে নিয়ে যান এসআই শাহিন আলম। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বাধ্য হয়ে নুরুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসআই শাহিনের বিরুদ্ধে এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন জোহুরুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

আহত জোহুরুল আরও অভিযোগ করেন, রবিবার জোহুরুলের বোন তাজলেমার সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে কর্ণহার থানার এসআই শাহিন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জোহুরুলকে ধরে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে লাথি ও কিল-ঘুঁষি মারতে থাকেন। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন জোহুরুল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

জোহুরুলের স্ত্রী নূরবানু অভিযোগ করে জানান, তাঁর স্বামীকে পেটানোর পরে এসআই শাহিন আলম ছেলে নুরুল ইসলামকে আটক করে। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে জোহুরুলের বোন তাজলেমাকেউ চুল ধরে টানা-হেঁচড়া করেন শাহিন। পরে এলাকাবাসী জড়ো হলে তিনি গত এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করা নুরুল ইসলামকে গাড়িতে তুলে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এসআই শাহিন আলম।

আহত জোহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে আরও জানান, মাস দুয়েক আগে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন জোহুরুল ইসলাম। এসময় নগরীর কর্ণহার থানার এসআই শাহিন আলম গিয়ে করোনার সময় বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না বলে জোহুরুলের নিকট চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে একবার কিছু টাকা দেওয়া হয় শাহিনকে। কিন্তু তার পরেও দ্বিতীয় বার আবারো টাকা চাইতে যান শাহিন।

এতে রাগে জোহুরুল মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপর এসআই শাহীনকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে তাঁকে কর্ণহার থানাতেই রাখা হয়। এ নিয়ে এসআই শাহিন জেহুরুলের ওপর ক্ষিপ্ত হোন।

এদিকে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পরে থানার ওসি’র তৌহিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। এসময় ওসি নুরুল ইসলামকে ছেড়ে দেন এবং বিষয়টি নিয়ে সোমবার উভয়পক্ষের সঙ্গে মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

জানতে চাইলে এসআইস শাহিন আলম বলেন, ‘আমি কাউকে মারধোর করিনি। যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ওসি তৌহিদুল আলম বলেন, ‘সামান্য কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে এই এসআইয়ের কিছু সমস্যাও আছে। তাকে বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে বদলির আদেশটি স্থগিত আছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এ কারণে আমরাও বিব্রত।’

স/আর