রাজশাহীতে এনজিওর নামে প্রতারণার অভিযোগে আটক ১

রাজশাহীর কাটাখালী এলাকায় সুদবিহীন ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কথিত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ফরম বিক্রি করে নারীদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মজিবুর রহমান নামে এক যুবক। এ কারণে একটি স্কুলের এই কর্মচারী যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোয়াবাসিনী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মজিবুরকে প্রতারণার দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ।

মজিবুর রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকায় অবস্থিত শহীদ জিয়াউর রহমান হাইস্কুলের অফিস সহকারী।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এনজিওকর্মী না হয়েও মজিবুর কাটাখালীর গোয়াবাসিনা গ্রামের নারীদের কাছে গাইবান্ধার একটি এনজিও’র ফরম বিক্রি করেন। সুদবিহীন ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০ নারীর কাছে এক হাজার টাকা করে নেন।

এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে নারীদেরকে বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেয়ার কথা বলেন। এতে সমিতিতে যোগ দিতে হিড়িক পড়ে। তবে সমিতির সদস্য হওয়ার পরও কেউই তার কাছ থেকে ঋণ পাননি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ বলেন, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী তাকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রতারক মজিবুর রহমান প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভুয়া গাইবান্ধার ‘বাদিয়াখালী দুস্থ মাতা মহিলা সমিতি’র নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রামের নারীদেরকে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ‘ফরম বাণিজ্য’ করে আসছিল।

কমপক্ষে ২০০ নারী তার ফাঁদে পড়ে এক হাজার টাকা দিয়ে ফরম কিনেছেন। মজিবুরের কাছ থেকে আরও ৫০০টি ফাঁকা ফরম জব্দ করা হয়েছে।