রাজশাহীতে ঈদের ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘আসার সময় বাসে এসেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হয়েছে। গরমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পুরো সড়ক যানজটে ভরা ছিলো। এবার ট্রেনের টিকিট কেটেছি। সময় পার হলেও নেই ট্রেনের দেখা। ব্যপক যাত্রী দাঁড়িয়ে প্লাটফর্মে। এখানেও ভোগান্তির শেষ নেই।’

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী স্টেশনে ট্রেনে যাত্রি রাশেদুল ইসলাম এ ভাবেই বলছিলেন। রাশেদুল ইসলাম ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবার দারুশায় বেড়াতে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিনটা থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। ট্রেনের পাত্তা নেই। স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মীরাও জানে না কখন আসবে ট্রেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছি প্লাটফর্মে। পদ্মা এক্সেপ্রেস ট্রেনটি বিকেল চারটায় ছাড়ার কথা। কিন্তু সেই ট্রেন আসলো বিকেলে ছয়টায়।’ পরে সেই পদ্মা এক্সেপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশন থেকে ছাড়ে যায় বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে।

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চাল রেলওয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক অসিমকুমার তালুকদার বলেন, কিছু ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে। ট্রেনগুলো স্টেশনে ২ থেকে ৩ মিনিট থামার কথা, সেখানে ২০ থেকে ২৫ মিনিট করে থামতে হচ্ছে। এতে করে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা থেকে ট্রেন আসতেই দেরি হচ্ছে যাত্রীর চাপে। এছাড়া আমাদের (রেলওয়ে) ট্রেনের চালকদের বলা আছে দেরি হলেও সব যাত্রীদের নিতে।

এদিকে, ঈদের পরের দিন রাজশাহী থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবীরা। যদিও কোরবানি ঈদের তিনদিনের ছুটি শেষ হয়ে গেছে। তবুও যাদের বাড়তি ছুটি নেয়া ছিলো- তারাই মূলত ফিরছেন কর্মস্থলে। বিকেলে কর্মস্থলে ফিরতে বাস স্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনে অনেক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে যাত্রিদের। অন্তঃজেলা বাসগুলো ঠিক সময়ে ছেড়ে গেলেও ট্রেনের ছিলো সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা। ফলে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেল স্টেশন থেকে দুই-একটি ছাড়া সব ট্রেনই দেড়-দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, বাসের টিকিট নেই এমন অজুহাতে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। আর ট্রেনের টিকিট আগেই বিক্রি হলেও কালোবাজারে মিলছেÑ যাত্রিদের অভিযোগ। যাত্রিরা অতিরিক্ত দামে টিকিট কিনছেন।

শিরোইল ঢাকা বাস কাউন্টারে আরাফাত নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘টিকিট আগেই কিনেছি। তবে বাস ছাড়তে দেরি করছে চালক। আবার শুনছি সড়কে যানজট। বুঝতে পারছি না কখন পৌঁছাবো ঢাকায়। তিনি আরো বলেন, তাদের বাস কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ঠিক সময়ে ঢাকা পৌঁছে দেয়া হবে- যানজট না থাকলে।

বাসের আরেক যাত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ছুটি শেষ। শনিবার সকালে কর্মস্থলে যোগদান করার কথা। বাস ছাড়বে বিকেল ছয়টার দিকে। বাস সারা রাতের মধ্যে গেলেও সকালে অফিস করতে পরেবো। তার অফিস সাভারে। তাই সমস্যা হওয়ার কথা না। তিনি আরো বলেন, আসার সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

 

স/আ