প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে এবং রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত প্রদান করেন সভায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ইতোমধ্যে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল সহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এর উদ্বোধন করা হয়েছে।এই বছরে আরো মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী মহানগরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিসিক শিল্পনগরী-২ তৈরি করা হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়ন, নারীদের উন্নয়ন ও ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী শিক্ষানগরী হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত। রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। আরো দুটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ যাত্রা শুরু করেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুবউল আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরিফ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি প্রফেসর নুরুল আলম, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শামসুদ্দিন খোকন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজম শান্তনু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল,সহ বিশিষ্ট নাগরিক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।