রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে নারীর গহনা নিয়ে উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীতে প্রকাশ্যে দিবালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে প্রতারণা করে এক নারীর গহনা নিয়ে পালিয়েছে একটি চক্র।  বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর উপশহর নিউমার্কেট সংলগ্ন ভারতীয় হাই কমিশনার অফিসের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা মো. সেকেন্দার আলী তার মেয়ে মোসা. মিনিয়ারা রহমানকে নিয়ে নিউমার্কেটে বাজার করতে যায়। এ সময় পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পরে ক্ষমা চেয়ে নেয় প্রতারণা চক্রের এক সদস্য। এরপর নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের দুইজনকে কথিত অফিসারের কাছে নিয়ে যায় প্রতারক। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তায় সিভিলে ডিউটি পালন করছেন বলে জানায় সে। বাইরে বের হলে অফিসিয়াল নিরাপত্তা কার্ড দেয়ার কথাও বলে। এরপর অফিসারের কাছে নিয়ে গেলে টাকা ও সোনাদানার হিসেব চায় কথিত অফিসার। পরে হুমকি ধামকি দিয়ে হাতের সোনার চুরি খুলে নেয় তারা। পরে একটি কার নিয়ে এসে সেই চুরি নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্রটি।

ভুক্তভোগী সেকেন্দার আলীর ছেলে রাকিবুল আলম রাকিব সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, প্রতারকরা এসে প্রথমে বাবাকে ধাক্কা দেয়। তারা বলে আজ আমরা সিভিলে কাজ করছি নিরাপত্তার জন্য। আজ তো বাজারে আসা যাবে না, যাক যেহেতু চলে এসেছেন আপনাকে একটা নিরাপত্তা কার্ড দেয়া হবে তাহলে আর কিছু হবে না। এতে সন্দেহ হয় আমার বোনের। পরে আমার বোন অপারগতা করলে তাকে ঝাড়ি মারে কথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। বাবাকে নিরাপত্তা কার্ড নিতে বাধ্য করে বড় অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য। পরে আমার বাবা তার সাথে যেতে রাজি হয়।

তিনি আরও বলেন, কথিত বড় অফিসারের কাছে নিয়ে গেলে আমার বোনকে জিজ্ঞাসা করে তার কাছে কত টাকা আছে। বোন টাকার কথা কেন বলছে জানতে চাইলে পুনরায় ঝাড়ি মেরে তার হাতের চুরি খুলতে বলে। বাবা সহজ সরল হওয়ায় বাবার কথায় বোন রাজি হয়ে হাতের চুরি দিয়ে দেয়। পরে একটি কার এসে তাদের নিয়ে গেলে আমার বোন চিৎকার করতে থাকে।

রাকিব জানান, প্রথমে কারটি কাষ্টম অফিসের দিকে যায়। পরে উত্তরা ক্লিনিকের মোড় হয়ে দ্রুত গতিতে স্টেডিয়ামের দিকে চলে যায়। ওই চক্রের সাথে ভুক্তোভোগীর বেশে আরেকজন সদস্যও ছিল। ছিনতাইকৃত সোনার চুরির পরিমান প্রায় দুই ভরি।
এ ঘটনায় বিকেলে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন রাকিব।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, একটি প্রতারক চক্র এ কাজটি করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

স/শ