রবিবার , ৪ জুন ২০১৭ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে অসহনীয় ট্যাক্স কমিয়ে আনার দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও

নিউজ ডেস্ক
জুন ৪, ২০১৭ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অসহনীয় ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী নগর ভবন ঘেরাও করেছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে র‌্যালী নিয়ে আসেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নেতৃবৃন্দরা।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, ট্যাক্স এর নামে রাজশাহীবাসির কাছে অসহনীয় এক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে রাসিক। মাত্রাতিরিক্ত এ হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ সম্পূর্ণ অবৈধ। অবৈধ এ হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে নগরবাসিকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।  অনতিবিলম্বে এ ট্যাক্স কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বক্তারা।

সেই সাথে নগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘি দখলমুক্ত করা এবং বিভিন্ন ইমারতের নির্মানকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিও জানান তারা।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে নগর ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনার রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার, সাংবাদিক হাসান মিল্লাত, রিয়াজ আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, নারী ও  শিল্প উদ্যেক্তা সেলিনা খাতুন, শাহীনা বেগম, রাজশাহী চেম্বারের সাবেক পরিচালক এম. শরিফ, শাহ মোহাম্মদ জিয়া, নিযাম উদ্দিন, সমাজ সেবী নুরুল হক পুটু, আলাউদ্দিন আল আজাদ, দিগন্ত প্রসারী ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন,  রাজশাহী নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি নেতা তাজুল ইসলাম, হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশবীদ মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য রাসেল, কমরেড শাহীন শেখ প্রমুখ।

এসময় তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে ব্যবসার জন্য অগ্রিম অর্থলগ্নীকারি ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেন। সমাবেশ থেকে সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আজিমের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান।

বক্তার বলেন, বাণিজ্যিক প্রসার ও আধুনিক বিপনী-বিতান গড়ে তোলার আশা নিয়ে রাজশাহী নগরীতে একাধিক বহুতল ভবন নির্মান কাজ ৫ বছর আগে শুরু হলেও নানা জটিলতায় সেগুলোর সব কাজ বন্ধ রয়েছে। এসব ভবনে ব্যবসার আশায় সহ¯্রাধিক ব্যবসায়ী অগ্রিম অর্থলগ্নি করে চরম বিপাকে পড়েছেন। এদের কেউ কেউ ৫০ লাখ টাকার অধিক পরিশোধ করলেও বুঝে পাচ্ছেন না ওইসব ভবনের ঘর। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আলোর মুখ দেখছেন না। অনেকে এসব ভবনে প্লট হিসেবে আগাম টাকা দিয়ে বুকিং দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তিন/চার বছরের বেশী সময় পেরিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা বলেন সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল দফতর থেকে এগুলো দেখভাল ও বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখন বিষয়টি রহস্যজনক কারনে এড়িয়ে চলছে।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সিটি সেন্টার নির্ধারিত নকশা অনুযায়ী নির্মান কাজ শেষ করে হস্তান্তরের দাবি জানান। এছাড়া নগরীতে নির্মানাধীন আরো দুটি বানিজ্যিক কেন্দ্র দারুচিনি প্লাজা ও স্বপ্নচূড়া ভবনও নকশা বহির্ভূত ভাবে নির্মান করা হচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, মুল নকশা অনুযায়ী এসব ভবন দ্রুত নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় অর্থলগ্নিকারী ব্যবসাযীরা তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি আইনের দারস্ত হবেন।

সমাবেশ থেকে জামাত খান বলেন, অবিলম্বে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি রক্ষা ও দখল মুক্ত করতে হবে। এককালের সোনাদীঘি এখন নোংরা আবর্জনা ও বালু ভরাট করে দিঘিটিকে হত্যা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ভবনমোহন পার্ক অবৈধ দখলমুক্ত ও মাদকের অখড়া বন্ধ ছাড়াও সেখানে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত গণসৌচাগার অন্যত্র স্থানান্তরের জোর দাবি জানান।

সমাবেশ থেকে বলা হয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন হঠাৎ করেই নাগরিকদের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করে নগরবাসীর মাথায় বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ট্যাক্স কমানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বক্তারা অবিলম্বে বর্ধিত কর বাতিলের জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ২০১১ সালের শেষের দিকে একটি ক্লিনিক ও ৭টি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার উদ্যেগ নেয়। ২০১৪ সালের মধ্যে কাজগুলো শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ওই ভবনগুলো এখন নির্মাণের কোনো অগ্রগতি নেই। চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে কাজগুলো শেষ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগের নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয় নি।

 

স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর