মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল ২০১৭ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাওধার মরদেহ পুন:ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার আদেশ

নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ১৮, ২০১৭ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল রাওধা আতিফের মরদেহ পুন:ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।

 

আদেশে বলা হয়, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ মরদেহ তুলতে হবে। তবে কোন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন বা কবে মরদেহ তোলা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তা ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঠিক করবেন।

 

আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেয়া হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে।

 

সোমবার বিকেলে রাওধা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক রাওধার মরদেহ উত্তোলন করে পুন:ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সে আবেদনের শুনানি হয় বলেও তিনি জানান।

 

এর আগে, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে  তদন্তের জন্য দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একইসঙ্গে রাওধার মৃত্যুর পর শাহ মখদুম থানায় করা অপমৃত্যুর মামলাটির তদন্তভারও সিআইডির ওপর ন্যাস্ত হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রাওধার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাওধা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি মহিলা হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে উঠেছিলেন রাওধা। ওই ব্লকে আরও ছয়জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন।

 

পরে রাওধা আতিফের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়। এ টিমের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সাবেক অধ্যাপক এমদাদুর রহমান। পরে রাওধা আতিফ আত্মহত্যা করেছে চিকিৎসকরা প্রতিবেদন দেন।

 

এ সময় পরিবারের সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের আগে তার বাবা-মা হাসপাতালের হিমঘরে গিয়ে রওধার মরদেহ দেখেন। ময়নাতদন্ত শেষে গত এক এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহীর হেতমখাঁ গোরস্থানে মালদ্বীপের মেয়ে রাওধা্ আতিফের মরদেহ দাফন করা হয়।

 

কিন্তু গত ১০ এপ্রিল তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাওদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় রাওধার বান্ধবী সিরাত পারভীন মাহমুদকে (২১) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। সিরাতের বাড়ি ভারতের কাশ্মীরে।

স/অ

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর