রাইমা সেনের নায়ক এখন ভিডিও সম্পাদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় মুস্তফা প্রকাশের। শুরু করেন মিডিয়ার কাজ। নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে বেশ পরিচিতি তৈরি করেন প্রকাশ। পড়ালেখা চলাকালেই ভারতের কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি।

‘নটবর নটআউট’ নামের সেই ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান এই বাংলাদেশি অভিনেতা। এতে তার নায়িকা ছিলেন সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমা সেন। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই দুই বাংলাতেই প্রকাশের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। দুই দেশের নির্মাতারাই তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণের প্রস্তাব দেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সামিয়া জামানের পরিচালনায় ‘ছেলেটি কোথায়’ নামের একটি ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। সেটিতেও প্রকাশের অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর হঠাৎ করেই অভিনয় বন্ধ করে দেন এই প্রতিশ্রুতিশীল চিত্রনায়ক।

জাহাঙ্গীরনগরের পড়ালেখা শেষ করে তিনি চলে যান কলকাতায়। সেখানে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভিডিও সম্পাদনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। সেই কোর্সটি শেষ করে দেশে ফিরে ভিডিও সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। এখন তিনি একজন পেশাদার ভিডিও সম্পাদক। বিজ্ঞাপন এবং তথ্যচিত্রের পাশাপাশি সিনেমার ভিডিও সম্পাদনার কাজ করছেন নিয়মিত।

সম্প্রতি সেলিম খানের পরিচালনায় ‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামের একটি ছবি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে। এটির ভিডিও সম্পাদক ছিলেন মুস্তফা প্রকাশ।

এছাড়া ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গণ্ডি’ ছবিটি তার সম্পাদনা করা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে শাকেরের পরিচালনায় ‘এই তুমি সেই তুমি’, সাজ্জাদ খানের ‘সাহস’ এবং হোসনে মোবারক রুমির পরিচালনায় ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ ছবিগুলো।

নিজের কাজ প্রসঙ্গে মুস্তফা প্রকাশ বলেন, ‘অভিনয়ের প্রস্তাব এখনো নিয়মিত পাই। তবে আমার ধ্যান-জ্ঞ্যান ভিডিও সম্পাদনার দিকেই।

কাজটি করে আমি প্রশান্তি পাই। তাই অভিনয়ে গুরুত্ব না দিয়ে এ কাজটি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। কাজের ব্যস্ততা কমলে হয়ত অভিনয়ে দেখা যেতেও পারে আমাকে। তবে সবার শুভকামনা চাই, যেন সামনের সময়গুলোতে পরিকল্পনা মতোই কাজ করতে পারি।’

 

সূত্রঃ যুগান্তর