রশিদের ফেভারিট আফগানিস্তান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টানা দুই ম্যাচে হারার পরও আজ স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি ২০ সিরিজের ফাইনালে নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। সোমবার মিরপুরে রশিদ জানালেন ফাইনালে স্বরূপে ফিরবে আফগানরা।

প্রশ্ন : ফাইনাল খেলার জন্য কতটাফিট আপনি?

রশিদ : এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। আগামীকাল (আজ) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

প্রশ্ন : রশিদকে ছাড়া বোলিং পরিকল্পনাটা কী হবে?রশিদ : আমাদের অনেক বিকল্প আছে। আমাদের মুজিব, নবী, বাঁ-হাতি স্পিনার ও ভালো অলরাউন্ডার আছে। কোনো সমস্যা হবে না। প্রশ্ন : ফাইনালের আগে কোন বিষয়ে উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে চান?

রশিদ : আমরা টানা দুই ম্যাচ চট্টগ্রামে হেরেছি। ঢাকায় আমরা টানা দুই ম্যাচ জিতেছিলাম। শুধু নিজেদের খেলাটা উপভোগ করতে হবে। চট্টগ্রামে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফাইনালে সেরা দলটাই খেলবে। প্রশ্ন : বাংলাদেশে টেস্টে ভালো করার অনুপ্রেরণা লাভের রহস্যটা কী ছিল?

রশিদ : আফগানিস্তানের সবাই ক্রিকেট ভালোবাসে। প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা আছে। যা অধিকাংশ দেশেরই নেই। আমাদের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নেই, মাঠও

নেই। কিন্তু প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিংয়ে

ছেলেরা সহজাত খেলাটাই খেলছে। এ মুহূর্তে আমাদের কিছু একাডেমি হয়েছে। তরুণ খেলোয়াড়রা অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে এখন। প্রশ্ন : স্পিনারদের ভালো করাই কি এই সিরিজে আফগানদের বড় প্রাপ্তি?

রশিদ : অনেক ইতিবাচক বিষয় এখান থেকে নিয়ে যাব। টেস্টে অভিষেক হওয়া ইব্রাহিম খুবই ভালো খেলেছে। রহমত শাহ আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করায় আমরা সন্তুষ্ট। আসগর আফগানেরও টেস্টে দারুণ অবদান ছিল। কাইস আহমেদ-জহির খানের ভালো অভিষেক হয়েছে। বাঁ-হাতি পেসার ফরিদ মালিকও দারুণ করেছে। তালিকায় রয়েছে নাভিন উল হকও। প্রশ্ন : দলের পারফরম্যান্স নিয়ে…

রশিদ : টেস্টের চেয়ে টি ২০-তে আমরা পুরোপুরি ভিন্ন দল। নবী ও আসগর টেস্ট এবং টি ২০ খেলে। তারা জানে টি ২০ থেকে কীভাবে টেস্টে প্রত্যাবর্তন

করতে হয়। একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে পরিস্থিতির সঙ্গে অবশ্যই মানিয়ে নিতে হবে। আবার টি ২০’র জন্য ভিন্ন কিছু ক্রিকেটার আছে। অধিনায়ক হিসেবে এগুলো আমার জন্য খুবই স্বস্তিদায়ক। প্রশ্ন : টানা দুই হারে কি আপনাদের মনোবল ভেঙে গেছে?

রশিদ : না। নিজেদের মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। প্রথম দুই ম্যাচে সেটা আমরা করেছি। আমরা এখন ফাইনালে। আগের হার কিংবা জয় কখনই কোনো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না। প্রশ্ন : ফাইনালে কী আপনারা ফেভারিট?

রশিদ : সেটাই মনে হয়। টি ২০-তে গত তিন-চার বছর ধরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে বিশ্বের যে কোনো দলকেই হারাতে পারি। প্রশ্ন : ইনজুরি নিয়েও গত ম্যাচে আপনার বোলিংয়ে আসার কারণ?

রশিদ : ফিজিও এবং কোচ আমাকে বল দিতে চাননি। আমি ভেবেছিলাম ইনজুরিটা হয় আরও বড় হবে

কিংবা পরবর্তী খেলার আগে উন্নতির দিকে যাবে। প্রশ্ন : বোলিং করাটা কী ঠিক ছিল?

রশিদ : হয়তো উচিত ছিল না। কিন্তু যখন দলের প্রয়োজন তখন তো খেলতেই হবে। দেশের ব্যাপার হলে নাগালের মধ্যে না থাকলেও আমরা নিজেদের সমর্পণ করতে পারি। আসগরকে ‘অ্যাপেনডিক্সে’ অস্ত্রোপচার করানোর চারদিন পরই মাঠে নামতে দেখেছি। তরুণরা এখান থেকেই শিখেছে। আমার ১০ ভাগ খেলার সুযোগ থাকলেও আমি খেলব। প্রশ্ন : ফাইনালে কেমন উইকেট চান?

রশিদ : আমরা যে কোনো ধরনের উইকেটে খেলতে প্রস্তুত। টার্নিং হোক কিংবা ফ্লাট। গত দুই ম্যাচ ফ্লাট উইকেটে খেলেছি। নিজেদের মানিয়ে নিয়ে পারফর্ম করা জরুরি।