রম্য বচন “রাবি নিয়ে তদন্ত” ইব্রাহিম হোসেন মুন

বোধহয় ইজ্জত থাকেনা ! নেতারচাইতেক্যাডারবড়। তার চাইতে চামচা বড় !
চামচা, ক্যাডার কে বলে ভাই, পাড়ার মাষ্টার তোমারে খারাপ বলে, তাই নাকি ? ফোন কর । ফোন লাগিয়ে দেয় চামচা , এবার ক্যাডার মাষ্টারকে ফোনে বলে, মাষ্টার তুই নাকি আমাকে খারাপ বলিশ? তুই লেখেনে কাল সকাল ১০ টায় তোর হাত/পা কেটে নিব । মাষ্টার ভয়ে কাঁদতে লাগলেন । স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছেন কি হল তুমি কান্না করছ কেনো? এই মাত্র পাড়ার ক্যাডার ফোনে বললো কাল সকাল ১০ টায় আমার হাত/পা কেটে নিবে। এবার স্ত্রী হেঁসে দিল। স্বামী বলে হাসছো কেন? স্ত্রী বলে, ক্যাডারের ভয়ে কান্না করছো, তো নেতাদের বলো সমাধান করেদিবে।তাই নাকি?

তুমি ভুলে গেলে, আমাদের লিচু গাছে চোর উঠেছিল এবং কি দেখেছিলাম ? এবার-আপনারা শুনুন–মাষ্টার দেখল, তার সাধের গাছে চোর উঠেছে।একটি ছেলে লিচু পাড়ে। মাষ্টার বলে এই ছেলে নেমে আয় । তুই চুরি করছিস তোর বাবাকে বলে দিব । এবার বাচ্চাটা হাঁসে, মাষ্টার বলে হাসিস কেন? ছেলেটা বলে, স্যার কাকে অভিযোগ দিবেন, আমার বাবাকে? ঐ যে, দেখেন গাছের আরেক ডালে আমার বাবাও আছে । বুদ্ধিমান স্ত্রী এবার বুঝে গিয়ে চুপ । মনে মনে ভাবে,বিচার দিব কারে। উপায় না পেয়ে, দু’জনে বসে কান্নাকটি করে আর আল্লাহ্‌ পাকের দরবারে বিচার চায়।

এর ঘন্টা খানেক পর বাড়ির পাশ দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখে মাষ্টার মশাই নিচে নেমে জানতে চাইলেন কার কি হল? হটাৎ এ্যাম্বুলেন্স।লোকজন জানায় পাড়ার ক্যাডারের পা ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু কিভাবে? বাথরুমে সাবান দ্বারা পাপি চলে চিত পাটাং। মাষ্টার মশাইও তাই!!।

বোধহয় ইজ্জত থাকেনা! ও দিকে লিচু চোর বাপ বেটা গাছ থেকে নামলে পড়া প্রতিবেশী মেরে গেঞ্জী সার্ট খুলে ফেলে মাষ্টার মহোদয় জীবন বাঁচাতে অন্ধকার এবং নিরাপদ কক্ষে নিয়ে যায় কিন্তু বাপ বেটা ভাবে আর বুঝি ইজ্জত থাকে না প্যান্টা-না এবার খুলে ফেলে । বোধহয় ইজ্জত থাকেনা!
দুর্নীতি বিরোধী ভুয়া অভিযোগ নিয়ে চামচা সেজে ক্যাডার দিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের হাত পা কাঁটার চক্রান্ত করতে গিয়ে নিজেদের সবনা ধরা পড়ে ।সাধু সাবধান! চিন্তায় বিভোর প্যান্টা-না এবার খুলে ফেলে

বি.দ্রঃ-১ উপাচার্য নিয়োগ পান রাষ্ট্র প্রতি কর্তৃক । তিনি চলেন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউ জিসির কর্তৃক আইন দ্বারা নয় ।
২ । ইউজিসির তদন্ত টিম কর্তৃক মাননীয় উপাচার্য মহোদয় কে ডাকার এখতিয়ার নাই।

৩। যেহেতু মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দুর্নীতির বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এই নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজেও ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ খেয়েছেন এই নিয়ে যে তদন্ত কমিটি হয় সে কমিটিকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। সুতরাং আমরা মনে করি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইউজিসির তদন্ত টিমকে ঘঠনা স্থলে এসে তদন্ত করতে আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে ইতিপূর্বে সদ্য সাবেক প্রশাসনের বড় বড় দুর্নীতির তদন্ত চাই ।

লেখক
ইব্রাহিম হোসেন (মুন)
সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ও পিএইচডি গবেষক।