রম্যার হাতেই রাহুলের ‘হাত’। সুন্দরী কিন্তু সহজ দেখছেন না সামনের পথ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

তাঁকে সুন্দরী বললে সত্যিই কম বলা হয়। কিন্তু শুধু রূপে নয়, কাজেও তিনি বিখ্যাত। তাঁর হাতেই রাহুল গাঁধীর ‘হাত’।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টক্কর। সুতরাং, সেটা শুধু মাঠে-ময়দানে নয়। লড়াই করতে হবে ডিজিটাল ময়দানেও। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী তথা বিজেপিকে টক্কর দিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ভরসা রাখছেন সুন্দরী রম্যা ওরফে দিব্যা স্পন্দনার উপরে।

দিব্যা কর্ণটকের প্রাক্তন সাংসদ হলেও এটাই এখন মূল পরিচয়। তিনি রাহুলের যুব ব্রিগেডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর তিনিই পরিচালনা করেন কংগ্রেস তথা রাহুল গাঁধীর সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন টিমকে।

কিন্তু কংগ্রেসের হয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে খুব একটা সুখে নেই রম্যা। রবিবার কেমব্রিজের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের একটি আলোচনা সমাবেশে উপস্থিতি ছিলেন সুনন্দা। আর সেখানেই তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে এবং তাঁর টিমকে। বিজেপির তুলনায় তাঁর কাছে থাকা সফটওয়্যার ও অন্যান্য টুলস অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

এই সেমিনারের বিষয় ছিল ‘সোশ্যাল মিডিয়া ইন ইন্ডিয়ান পলিটিকস’। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে রম্যা বলেন, নানা রকম সীমবদ্ধতার মধ্যেও তাঁর টিম যথেষ্ট ভাল কাজ করছে। ওই সেমিনারে বিজেপির পক্ষে ছিলেন মধুকেশ্বর দেশাই। তিনিও রাহুল গাঁধীর সোশ্যাল মিডিয়া টিমের কাজের প্রশংসা করেন। এছাড়াও আম আদমি পার্টির অঙ্কিত লাল এবং সমাজবাদী পার্টির ঘনশ্যাম তিওয়ারি উপস্থিত ছিলেন হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের ওই আলোচনা সমাবেশে।

সেখানে বিজেপির প্রতিনিধিকে বার বার একটি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কেন বিজেপি এত ‘ফেক নিউজ’ প্রচার করে। মধুকেশ্বর দেশাই বলেন, ওগুলো দল নয়, ব্যক্তিগত ভাবে কেউ করে থাকতে পারে।

আর রম্যার কাছে ঘুরে ফিরে আসে একটি মোক্ষম প্রশ্ন— রাহুল গাঁধীর হয়ে টুইটার হ্যান্ডেলে মন্তব্য কে লিখে দেন?

দিব্যা স্পন্দনা জানিয়েছেন, সব ট্যুইট নিজেই করেন রাহুল।