আমানুল হক আমান:
পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। এই জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ২৫ মে বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই কথা বলেন। যা বাস্তবায়নে বাস্তবরূপ না পেয়ে কথায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মানা হচ্ছে না বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বাঘাবাসী পাচ্ছেনা বিদ্যুতের স্বাভাবিকতা। কোন কোন দিন ২৪ ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ বারের অধিক সময় পড়ছে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং। মানা হচ্ছে না পবিত্র রমজান মাসের বিশেষ মূহুর্তগুলো। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, একেতো গ্রীষ্মকালের তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে, তার উপরে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এখানে ২০ থেকে ২৫ দফায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ রয়েছে অহরহ। চলমান গ্রীষ্মকাল ও পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিঘœতায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
উপজেলার বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর শিকার মুসল্লিরা রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়ে বলেন, রমজানের শুরু থেকেই বেড়ে গেছে লোডশেডিং। হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহককে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
উপজেলার আড়ানী এলাকার শিক্ষক কামরুল হাসান জুয়েল বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর ফলে যেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মুসল্লিরা, তেমনি লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রদের। অপরদিকে, এই প্রচন্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। সে সাথে সেহেরি খেতে হচ্ছে অন্ধকারে।
উপজেলার বাজু বাঘা এলাকার পল্লী চিকিৎসক আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই ভ্যাপসা গরমে মানুষের জীবন যখন ওষ্ঠাগত ঠিক সে সময়ে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং রোজাদারদের বেহাল অবস্থায় ফেলেছে। বেশ কয়েক দিন সেহরীর সময় বিদ্যুৎ না থাকায় স্নান ঘামা শরীরে ভুতুরে পরিবেশে সেহরী খেতে হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় ভ্যাপসা গরম চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই সময়ে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও ঘন ঘন লোডশেডিং এর পাশাপাশি বাসা বাড়িসহ দোকান পাটের টিভি, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক পাখা এবং বাল্বগুলো প্রতিনিয়তই নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার লাগামহীন লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বাঘা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মাজহারুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজ বলেন, তীব্র এই গরমের কারণেই লোডশেডিং সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি সেহেরি, ইফতার ও তারাবির সময় সকল লাইন চালু রাখতে। কিন্তু অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে পেরে উঠছি না। আবার অনেক সময় লাইনের ত্রুটির করণেই ঘন ঘন লোড়শেডিং হচ্ছে। তবে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
স/শ