রংপুর বিভাগে আক্রান্ত বেড়ে ৭১

রংপুর মেডিক্যাল কলেজে করোনা শনাক্তে পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হয় গত ২ এপ্রিল। এরপর থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৯ ধাপে ২০৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখানে এখন পর্যন্ত ৬৫ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) মাধ্যমে রংপুর বিভাগে আরো ছয়জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে মধ্যে রংপুরে ১৫, গাইবান্ধায় ১৪, দিনাজপুরে ১৩, নীলফামারীতে ১১, ঠাকুরগাঁওয়ে আট, কুড়িগ্রামে পাঁচ, লালমনিরহাটে দুই এবং পঞ্চগড় জেলার তিনজন রয়েছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরসহ অন্যান্য গার্মেন্টশিল্প এলাকা থেকে গ্রামে এসেছেন বলে জানান রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগের তিন জেলায় সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলাতেই রয়েছেন পাঁচজন।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংক রংপুর বাজার শাখা লকডাউন করা হয়েছে। ব্যাংকের ওই শাখার ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বুধবার সকাল থেকে ব্যাংকের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। অসুস্থদের মধ্যে দুই দফায় নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। সোনালী ব্যাংক রংপুর প্রধান শাখার ডিজিএম আব্দুল বারেক চৌধুরী জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের নমুনা পরীক্ষায় ওই শাখার এক কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ রংপুরের পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে তিনি একজন। বাকিদের ফলাফল এখনও জানা যায়নি।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু গতকাল রাতে জানান, বৃহস্পতিবার দুই দফায় পরীক্ষায় ১৮৮ জন করোনা সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে সাতজন করোনায় আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এ নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ