যৌন হয়রানির মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর মামলা এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করা হয়। জরিমানার অর্থ যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।

সাজাপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হলেন- আব্দুস সালাম (৩৮)। তিনি জেলার সাপাহার থানার ডাঙ্গাপাড়া মহিলা মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ছিলেন। নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌশলী অ্যাড. মকবলু হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর মাদ্রাসার ছাত্রীরা যোহরের নামাজ পড়তে গেলে এই সুযোগে এক ছাত্রীকে পড়নের লুঙ্গি খুলে শিক্ষক আব্দুস সালাম (৩৮) বিভিন্ন খারাপ অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। এছাড়া ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। এ ঘটনায় যৌন হয়রানীর শিকার ছাত্রীর বাবা সাপাহার থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করে যৌন হয়রানী সত্যতা পায়। এবং এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করে। এরপর বিচার শুরু হয়। আদালত ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাসের গত ২২ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর এ মামলা রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন আদালত।

অ্যাড. মকবুল হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামী আব্দুস সালাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক রায় পড়ে শোনান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

আসামী পক্ষের আইনজীবি আবুজাইদ মো. রফিকুল আলম রফিক বলেন, উচ্চ আদালতে আপিল করবে আসামীর পরিবার।