সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
৬০ হাজার টাকা যৌতুক। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি ১০ হাজার টাকার জন্য মাঝেমধ্যে নির্যাতন করা হতো। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের লাশ পেয়েছেন বাবা। এটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কান্দাপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার কান্দাপাড়া মহল্লার জামাত আলীর ছেলে রাজু তার স্ত্রী ইতি খাতুনকে (২০) বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকসানা হ্যাপী গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজু তখন ইতির বাবা পোতাজিয়া গ্রামের শুকুর আলীকে ফোন দিয়ে বলে, ‘আপনার মেয়ে অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’ এরপর লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে রাজু ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
এদিকে খবর শোনামাত্র বাবা শুকুর হাসপাতালে এসে দেখেন, তাঁর মেয়ের লাশ পড়ে আছে। মেয়ের লাশ দেখে বাবা শুকুর আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়েটির পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, এক বছর আগে ৬০ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময়ে রাজুর সঙ্গে ইতির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। ১০ হাজার টাকা বাকি থাকে। এই টাকার দাবিতে মাঝেমধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ উঠেছে, ইতিকে এর আগেও কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী ও পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা লাশ থানায় নিয়ে আসেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী উপপরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘লাশের পিঠ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।’ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল বলেন, ‘আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’