যে কারণে শর্ট স্কার্ট পরেন বিমানবালারা

সিল্কসিটিনিউজ  ডেস্ক:  ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট তথা বিমানবালাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, বিমানবালাদের লম্বা হতে হয়। ভালো ফিটনেসও থাকা চাই। ক্রুরা কতটুকু মেকআপ নিতে পারবেন, সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকে কিছু এয়ারলাইনস। অর্থাৎ তাদের কেমন দেখাবে তা ঠিক করে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ।

লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ইউনিফর্ম হিসেবে বেশিরভাগ বিমানবালা শর্ট স্কার্ট পরেন। এর রহস্য কী? আমেরিকান ম্যাগাজিন মেন্টাল ফ্লস জানিয়েছে, বিমানবালা শর্ট স্কার্ট পরেছেন দেখলে বুঝে নিতে হবে তিনি অভিজ্ঞ। কারণ শিক্ষানবিস-কাল না পেরোনো পর্যন্ত শর্ট স্কার্ট পরা যায় না। সেই সময় অতিবাহিত করে এলে পা দেখানো পোশাক পরা যায়। কাজের বেলায় স্কার্টে চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য পান তারা। একইসঙ্গে এটি ফ্যাশনেবল।

‘ক্রুজিং অ্যালটিটিউড: টেলস অব ক্র্যাশপ্যাডস, ক্রু ড্রামা অ্যান্ড ক্রেজি প্যাসেঞ্জারস অ্যাট থার্টি ফাইভ থাউজেন্ডস ফিট’ গ্রন্থে সাবেক বিমানবালা হিদার পুল জানিয়েছেন, বেশি অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। যেমন, কোন ফ্লোরে ও কোথায় ঘুমাবেন আর সেই রুম কতটা নীরব থাকবে।

 অবশ্য বেশিরভাগ এয়ারলাইনসে ওজনজনিত কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। তবে ষাটের দশকের বিমানবালাদের এই নিয়ম মানতে হতো। যেমন তখন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার নিচে কেউ এই চাকরি পেতেন না। আর ওজন থাকতে হতো ১৩০ পাউন্ডের মধ্যে।

এখন নিরাপত্তাই প্রাধান্য পায় বেশি। তাই কেবিনে বিমানবালা কত ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন তার ওপর উচ্চতা ও ওজন নির্ভর করে। যেমন, বেশি লম্বা হলে (৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার বেশি) ইমার্জেন্সি বহির্গমনের আসনে বসা সম্ভব নয়। ফলে তারা চাকরি পান না।

এদিকে এ বছরের শুরুতে হংকংয়ের এয়ারলাইন ক্যাথে প্যাসিফিক বিমানবালাদের ওপর থেকে ইউনিফর্ম হিসেবে বাধ্যতামূলক স্কার্ট পরার নিয়ম সরিয়ে নিয়েছে। তারা চাইলে প্যান্ট পরেও দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানবালাদের জন্যও একই সুযোগ রয়েছে।