যেসব কারণে মানুষ করোনা পজিটিভি হওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে

আমাদের চারপাশে প্রতিদিনই অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। করোনার নাম শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে অজানা এক ভয় কাজ করে। কেউ করোনা পজিটিভি শোনার পরেই তৈরি হয় নতুন আতঙ্ক। এই ভয়, আতঙ্ক একসময় এমন মাত্রা ধারণ করে যে অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষকে বলতে ভয় পায় সে অসুস্থ। কখনো কখনো তার পাশের মানুষের কাছে অস্বীকার করে যে তার করোনা হয়েছে।

মানসিকভাবে হীনমন্যতায় ভোগা:

করোনা এমন একটি রোগ যা শনাক্ত করা খুব জরুরী। করোনা অস্বীকার করলে বা গোপন করলে শুধুমাত্র যে করোনা রোগী চিহ্নিত করা যায় না এমন না তা রোগীর মনের উপরেও তা প্রভাব ফেলে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য সাহস,কাছের মানুষের সমর্থন খুব বেশি জরুরী। কিন্তু মানুষ উল্টোটা করে। অনেক রকম চিন্তা ভাবনা করে নিজের করোনা পজিটিভ হলেও তা প্রকাশ করতে চায় না।

করোনা পজিটিভ চিন্তার কারণ:

করোনা পজিটিভ হলে আপনি নিজেকে যাচাই করে নিন আরো একবার। আপনি কি সচেতন ছিলেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন। সচেতন হতে আরো কি কি করা জরুরী সে অনুযায়ী জীবন চালনা করুন। আপনার করোনা সংক্রমণ আপনার প্রিয়জনেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আপনার কাছের মানুষদের কথা ভেবে হলেও করোনা শনাক্তের কথা স্বীকার করা উচিত।

লজ্জা:

আমাদের সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে যারা করোনাকে ট্যাবু মনে করে। করোনা পজেটিভ হলে তাকে একঘরে করে রাখাকে সমীচিন মনে করে। আর ওইসব মানুষদের জন্য অনেকে করোনা আক্রান্ত হলেও কাউকে জানাতে চায় না।  লজ্জা অপমানের ভয়ে তাই অনেকে কভিড পজিটিভ হয়ে মুখ বন্ধ রাখে।

দুশ্চিন্তা:

করোনা পজিটিভ হলে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে দুশ্চিন্তায় ভোগে। মৃদু বা মাঝারি উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের কভিড পজেটিভের কথা কারো কাছে বলতে ভয় পায়। অনকে সময় মানসিক চিন্তার কারণে বিষয়টি সে নিজের মধ্যে রাখতে চায়।

ভুল তথ্য:

করোনার নয় মাস অতিক্রম হলেও এখনো এই সম্পর্কে অনেক তথ্য মানুষের অজানা। করোনা কিভাবে ছড়ায়, এর পরবর্তী প্রভাব কি, ঝুঁকি কতটা এই নিয়ে অনেক মানুষের ধারণা এখনো স্পষ্ট না। আর এসব ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মানুষ করোনা পজিটিভ করার কথা প্রকাশ করতে চায় না।

সবশেষে যাই হোক বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়ম কানুন সব মেনে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর করোনা পজিটিভি হলে ভয় না পেয়ে,ঘাবড়ে না যেয়ে মানুষকে জানাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে চলতে হবে।  সাহস আর মনোবলই পারবে এই রোগ থেকে সুস্থ করে তুলতে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ