‘যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউক্রেনের অর্থনীতির ৩৫% সংকোচন ঘটবে’

যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউক্রেনের অর্থনীতি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সংকোচন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, এ ভাবে যুদ্ধ চলতে থাকলে রাশিয়া, ইউক্রেন তো বটেই, বিশ্বব্যাপী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনের অর্থনীতিতেও সরাসরি তার প্রভাব পড়বে। দেশটির অর্থনীতি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সংকোচন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

আইএমএফ জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসনের ফলে ২০২২ সালেই ইউক্রেনের অর্থনীতির ১০ শতাংশ পর্যন্ত সংকোচন ঘটতে পারে। তবে এই যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

ইউক্রেনে হামলা বন্ধে ছয় প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য-ইউক্রেন কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনে যোগ না দেওয়া, অস্ত্র ত্যাগ, লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা এবং রুশ ভাষাকে ইউক্রেনের রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া। সোমবার রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত এসব প্রস্তাব দেন। এদিন রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে পঞ্চম দফা ভার্চুয়ালি আলোচনায় বসেন দুদেশের প্রতিনিধিরা।

এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও মারিউপোলসহ বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার কিয়েভের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মারিউপোলে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা অলেক্সি আরেস্টোভিচ।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দিনিপ্রোরুদনের মেয়রকে আটক করেছে রুশ সেনারা। রোববার পোল্যান্ড সীমান্তে সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ন্যাটোর ভূখণ্ডে আঁচড় লাগলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। সীমান্তে মিসাইল হামলা ন্যাটোর জন্য সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছেন পোল্যান্ড প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত বলেছেন, জেলেনস্কি যদি সত্যিই এখনো ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন তাহলে তাকে নব্য নাৎসিবাদীদের নিরস্ত্র, অস্ত্র সমর্পণ, সংবিধানে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ, কোনো আন্তর্জাতিক ব্লকে যোগ না দেওয়া, রুশ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি, ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রাশিয়ার অংশ এবং লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে। দুমার ডেপুটি স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন, ইউক্রেনকে রাশিয়া ও এর নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্নকারী দেশে পরিণতি হতে দেবে না মস্কো।

 

সূত্রঃ যুগান্তর