যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাইওয়ানের তরুণরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা দীর্ঘদিন শোষিত হয়ে আসছে তাইওয়ান। চীনের সর্বগ্রাসী ‘এক নীতি’ আর মানতে রাজি নয় তাইওয়ান। তারপরও আবার হাজার হাজার মাইল দূর থেকে এসে তাইওয়ানকে উসকে দিয়ে যাচ্ছে চীনের ঘোর শত্রু যুক্তরাষ্ট্র। এই নিয়েই গরম হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাওয়া। চলমান এই উত্তেজনা এখন রীতিমতো যুদ্ধের দরজায়।

সেনাবাহিনীকে রাখা হয়েছে হাই অ্যালার্টে। অপরদিকে দ্বীপের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে সাধারণ তাইওয়ানিরা। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রতিনিদি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে আরও খ্যাপে উঠেছে চীন। ড্রাগনের এই চরম রোষানলের মুখে দ্বীপের প্রত্যেক নাগরিককে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে সেদেশের সরকার।

এক সময়ের হেভি মেটাল গানের শিল্পী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এমপি ফ্রেডি লিম বিবিসিকে বলেছেন, ‘তাইওয়ানের জনগণ একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করে। ইউক্রেন যুদ্ধের পরে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণপ্রজন্মের মধ্যে দেশকে রক্ষা করার দৃঢ় সংকল্প দেখা যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি শক্তিশালী দেশ একটি ছোট প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করতে পারে-সাধারণ মানুষ এ বাস্তবতা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। তারা ইউক্রেনে কী ঘটেছে তা দেখেছে এবং এখানেও একই ঘটনা ঘটতে পারে সেটি নিয়েও ভাবছে।’

তিনি তাইপের বাইরে একটি বন্দুক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পর্কে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে যোগদানের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এমনকি মহিলারাও আসছেন প্রশিক্ষণ নিতে। নারী প্রশিক্ষণার্থীদের সংখ্যা এখন ৪০-৫০ শতাংশ। সাহসী নারী লিসা হুসুহের মতো অনেকেই আছেন, যারা বন্দুকের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে লালন করে এবং বিশ্বাস করে যে তাদের তাইওয়ানের জন্য লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’

লিসা বলেন, ‘আমার মতো মহিলারা সামনের সারিতে যুদ্ধে যান না। তবে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, আমরা আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে পারব। আমি আমাদের স্বাধীনতাকে লালন করি। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। তাই এগুলো আমাদের মৌলিক অধিকার এবং আমাদের অবশ্যই এই মূল্যবোধগুলো বজায় রাখতে হবে।’

৫৯ বছর বয়সি তাইপের চিকিৎসক ডা. চার্লি মা বলেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমের সৈন্য পাঠানোর অস্বীকৃতি তার মনে ভীতি তৈরি করেছে। তার মতে, তাইওয়ান তার প্রতিরক্ষায় আসা অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে পারে না। চীন যদি সত্যিই তাইওয়ান আক্রমণ করে, তিনি একজন যুদ্ধচিকিৎসক হিসাবে এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করবেন বলেও জানান।

 

সুত্রঃ যুগান্তর