যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটে ল্যাপটপ-ট্যাববিরোধী নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন শুরু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের বিমান ভ্রমণের সময় ল্যাপটপ ও ট্যাব ব্যবহারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা কার্যকর হতে শুরু করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য বিমানবন্দরগুলোকে শনিবার (২৫ মার্চ) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে স্মার্টফোনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড় ডিভাইসগুলো ভ্রমণের সময় নেওয়া যাবে না, সেগুলো ব্যাগে রেখে দিতে হবে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আশঙ্কা, এসব ডিভাইসের  মধ্যে বিস্ফোরক থাকার ঝুঁকি আছে। কেবল একটি এযারলাইন কর্তৃপক্ষ বোর্ডিং-এর আগ পর্যন্ত ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন দিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এয়ারলাইন এমিরেটস এ বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। আবার অন্য দেশ থেকে যারা দুবাই হয়ে অর্থাৎ দুই ধাপের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন তারা প্রথম ধাপের ফ্লাইটে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। যাত্রীদের হতাশা দূর করতে অনেক এয়ারলাইন্স আবার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। কেউ কেউ ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দিয়েছে আবার কেউ কেউ মোবাইলের জন্য বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আটটি মুসলিমপ্রধান দেশের মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের বিমান ভ্রমণে ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো ডিভাইসগুলো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর যুক্তরাজ্যও ছয়টি দেশের ওপর একইরকমের নিসেধাজ্ঞা জারি করে।

যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় থাকা আট মুসলিম দেশ হচ্ছে সৌদি-আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, জর্ডান, কুয়েত ও মরক্কো। এ দেশগুলো থেকে প্রতিদিন যাত্রীবাহী প্রায় ৫০টি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রর উদ্দেশে যাত্রা করে। এ দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করে খ্যাতনামা এমন ১০টি এয়ারলাইনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। এরমধ্যে ইমিরেটস এয়ারলাইন, কাতার এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের মতো বিশ্বর খ্যাতনামা বিমান সংস্থাগুলোও রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিসর, তিউনিসিয়া ও সৌদি আরব।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়বে মিসরের কায়রো ইন্টারন্যাশনাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল, আবু ধাবি ইন্টারন্যাশনাল, তুরস্কের আতার্তুক ইন্টারন্যাশনাল, কাতারের হামাদ ইন্টারন্যাশনাল, জর্ডানের কুইন আলিয়া ইন্টারন্যাশনাল, কুয়েতের কুয়েত ইন্টারন্যাশাল, মরক্কোর পঞ্চম মোহাম্মদ ইন্টারন্যাশনাল, সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এবং কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল-এর মতো বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইটে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হবেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

যত দ্রুত সম্ভব এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তায়িব এরদোয়ান। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বলছে, গত দুই বছরে বিশ্বের বিভিন্ন বিমান ও বিমানবন্দরে হামলার ঘটনা পর্যালোচনা করেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন