যুক্তরাষ্ট্রে ৫জি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে বোয়িং ও এয়ারবাস

মার্কিন প্রশাসনকে ৫জি প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে বিলম্বের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- বোয়িং এবং এয়ারবাস।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বোয়িং ও এয়ারবাস এক চিঠিতে মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে- প্রযুক্তিটি বিমান শিল্পের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এর আগে ৫জি প্রযুক্তির ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছিল সি-ব্যান্ড স্পেকট্রাম। তাদের বক্তব্য ছিল- ৫জি প্রযুক্তি উড়োজাহাজের যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫জি প্রযুক্তি চালু করবে মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট এটিঅ্যান্ডটি এবং ভেরাইজন।

মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিজেজের কাছে লেখা চিঠিতে বোয়িং ও এয়ারবাস প্রধান ডেভ ক্যালহোউন এবং জেফরি নিটেল লিখেছেন, ৫জি প্রযুক্তির হস্তক্ষেপে উড়োজাহাজগুলোর নিরাপদে পরিচালনার সক্ষমতা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ওই চিঠিতে ‘এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা’র গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সেই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) ৫জি নীতিমালা ২০১৯ সালে কার্যকর হলে প্রায় তিন লাখ ৪৫ হাজার যাত্রীবাহী ফ্লাইট এবং পাঁচ হাজার চার শ কার্গো ফ্লাইট বিলম্বিত বা বাতিল হওয়ার শঙ্কা ছিল।

নয়া প্রযুক্তির কারণে মার্কিন এভিয়েশন শিল্পের স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতিতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই প্রযুক্তির ফলে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ফ্লাইট ভিন্নপথে পাঠানো হতে পারে বলেও এফএএ সতর্ক করে দিয়েছে এ বছরের ডিসেম্বরেই। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যাপক পরিসরে ৫ প্রযুক্তি প্রচলনের পর আরো তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এফএএ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ