ট্রেনে বেড়েই চলেছে হিজড়াদের দাপট

 নিজস্ব প্রতিবেদক:    অকথ্য ভাষা, অসভ্যতা আর অশ্লীল কর্মকান্ড কি করছে না তারা। যাত্রাপথে ট্রেন কিংবা বাসে সাধারণ যাত্রীদের কাছে গিয়ে চাঁদা আদায় করাই মূল পেশা হয়ে গেছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীদের। যাদের কারণে হেনস্তা আর অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে মানুষদের। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না হিজড়াদের দাপট। রাজশাহী থেকে ঢাকা বা সৈয়দপুরগামী ট্রেনের যাত্রীদের মূল ভোগান্তি এখন শুধু টিকিটের কালোবাজারি কেন্দ্রিক নয়। এখন শুধুই হিজড়াদের হয়রানী কেন্দ্রিক।

রেল ভ্রমনে এ যেন এক বাড়তি সমস্যা। যাত্রীদের মতে, গণ পরিবহনে হিজড়াদের দাপট মাত্রারিক্ত বেড়েছে। অচিরেই তা বন্ধ করা উচিৎ ।না রেল পুলিশ না টিকিট মাস্টার কারো কথা তোয়াক্কা না করে নিজেরাই বিনা টিকিটে ভ্রমন করছে হিজড়া জনগোষ্ঠীরা উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি।

করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করলেই পুরোনো কার্যক্রমে ফিরে আসেন হিজড়ারা। নিজেদের অসভ্যতা আর অশ্লীলতা জাহির করে পরিবার পরিজন বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনেই চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই ত বিপদ।যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে অথবা নিজেদের পোশাক সরিয়ে তুলকালাম কান্ড করেন তারা। হিজড়াদের এহেন কর্মকান্ডে লোকলজ্জার ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে হয় যাত্রীদের। হিজড়াদের এসব চাঁদা দাবি রীতিমতো ছিনতাইয়ের শামিল বলে মনে করেন যাত্রীরা।

আশিক রহমান নামক এক যাত্রী এমন ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,যাতায়াতের পথে আধুনিক ছিনতাইকারী “”হিজড়াদের” হাত হতে গণ পরিবহণকে মুক্ত করা জরুরী। এদের অসভ্য আক্রমণে অতিষ্ঠ পাবলিক যানবাহনের যাত্রীরা আর পারিবারিক ভ্রমণে এদের নোংরা ও অসভ্য অঙ্গভঙ্গির কারণে প্রায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

এমতাবস্থায় যাত্রীদের সুষ্ঠ ভ্রমন নিশ্চিত করতে রেল কতৃপক্ষ এবং বাস মালিক সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যাত্রীরা।

স/আ.মি