যশোরে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যশোরে সাংবাদিক আনন্দ দাসকে (৫৫) গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চাঁচড়া হরিণার বিল এলাকায় একটি মাছের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসাধীন আনন্দের গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার দাগ রয়েছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আনন্দ যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর। তিনি কেশবপুর উপজেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের শিবপদ দাসের ছেলে। তিনি প্রায় দেড় যুগ ধরে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন এবং গ্রামের কণ্ঠের মফস্বল সম্পাদকসহ বিভিন্ন পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, আনন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিকেলে শহরের টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান করছিলেন আনন্দ। এসময় তিনজন যুবক তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে বিল হরিণার মধ্যে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর কিছু বলতে পারেননি তিনি। তার চিকিৎসা চলছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় জড়িত তিন যুবকের বয়স ৩০/৪০ বছরের মধ্যে হবে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আনন্দের নিকট আত্মীয় অনুপ বসু জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে খবর পাই, আনন্দকে দুর্বৃত্তরা মুমূর্ষ অবস্থায় হরিণা বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘেরের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, ঘেরের মধ্যে তার হাত-পায়ে জাল জড়ানো রয়েছে। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। হাত-পায়ে কাটার দাগ রয়েছে। এরপর স্থানীয়দের নিয়ে সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আনন্দের স্ত্রী সুস্মিতা দাস জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। দুপুরে খাবার আগে তাকে ফোন করলে জানান, বাইরে আছি। এরপর বিকেল থেকে কল করে তাকে আর পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার দিকে কেউ একজন ফোন রিসিভ করে আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর তিনি জানান, মাছের ঘেরের মধ্যে তিনি পড়ে আছেন।

যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল বলেন, আনন্দের অপারেশন চলছে। তবে কি কারণে, কারা তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে সেটি এখনও জানা যায়নি।