যতই সমাবেশ করুক বিএনপি আর কবর থেকে উঠতে পারবে না : কৃষিমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে। এখন যতই সমাবেশ করুক না কেন, তারা এই কবর থেকে উঠতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের কেন্দুলে একটি আমবাগান পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে অরাজকতা হয়নি। জামায়াত যদি আবার কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে, জ্বালাও-পোড়াও করে তাহলে ১৯৭১ সালের মতো যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই তাদেরকে পরাজিত করা হবে। আবার কোনোরকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের শেকড় উপড়ে ফেলা হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সেটাও বিএনপি মানেনি। সেদিন থেকেই তারা আন্দোলন শুরু করেছে। ২০১৪ সালে বাড়িতে আগুন দিয়েছে, ২০১৫ সালে ৩০০ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পাকবাহিনীর চেয়েও বর্বর, নির্মম ও নিষ্ঠুর বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এখন তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, তবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। আন্দোলন করে কেউ কোনোদিন সফল হয়নি যদি জনগণ পাশে না থাকে।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের কারণে দেশের জনগণ সরকার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আন্দোলন করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য দুইটি। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করবো এবং শান্তি  ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ব। সেই লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

পরে কৃষিমন্ত্রী শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নে আজান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাল্টি সংরক্ষণাগার এবং ছত্রাজিতপুর পলিনেট হাউস পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াসমিন, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার মো. ছায়েদুল হাসান প্রমুখ।