ম্যারাডোনার ঘড়ি চোরের শ্বশুরবাড়িতে মিলল আরও অনেক কিছু

আর্জেন্টিনার প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার ব্যবহৃত একটি হাতঘড়ি চুরি হয়েছিল দুবাই থেকে। এতদিন পর গতকাল সেটা ভারতের আসামে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ওয়াজিদ হুসেন নামের ওই ব্যক্তি দুবাইয়ে ম্যারাডোনার বাড়িতে কাজ করতেন। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে তিনি ভারতে এসেছিলেন। এবার ওয়াজিদের শ্বশুরবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বেশি কিছু জিনিস পেয়েছে পুলিশ। সেই বস্তুগলোর সঙ্গে ম্যারাডোনার সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শিবসাগর থানার পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রাকেশ রোশনের বরাত দিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, ওয়াজিদ হুসেনের শ্বশুরবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আসাম পুলিশ জোড়া আইপ্যাড, একটি জ্যাকেট, একটি টি-শার্ট, ২ জোড়া জুতা, একটি খেলনা পুতুল, একজোড়া স্কোয়াশ ব়্যাকেট, একটি ঘড়ি, ৬টি লাইটার একটি ভ্যাসলিন এবং টুপি উদ্ধার করেছে। রাকেশ রোশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘড়ি উদ্ধারের পর তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে শিবসাগর পুলিশ মূল্যবান হিউবোল্ট ব্র্যান্ডের হাতঘড়িটি উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ঘড়িটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। এর আগে দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগকে অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর দুবাই পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসাম পুলিশ ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে পাওয়া যায় ওয়াজিদ হুসেনের খোঁজ।

পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রাকেশ রোশন বলেছেন, ‘যে জিনিসপত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ম্যারাডোনার সঙ্গে এই দ্রব্যগুলোর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ ওয়াজিদকে এখন দুবাই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নে রাকেশ বলেন, ‘যদি ওরা চায়, তাহলে আমরা ওয়াজিদকে দুবাই পাঠাতে পারি। আর যদি সেটা না চায়, তাহলে আমরা দেশেই প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ