ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে ব্যাঙ্গালুরুর চ্যালেঞ্জিং স্কোর

শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড় তুলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঞ্জাব কিংসের বোলারদের সামনে অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন দ্রুত রান তুলতে, সেখানে প্রায় দুইশ স্ট্রাইকরেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন অসি তারকা।

মাক্সওয়েলের ব্যাটে চড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে বিরাট কোহলির দল। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া ব্যাঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৬৪ রান। ম্যাচ জিতে প্লে-অফের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যেতে পাঞ্জাবকে করতে হবে ১৬৫ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৬৮ রান এনে দেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিয়ারট কোহলি ও দেবদূত পাড্ডিকাল। কিন্তু এতে খরচ হয়ে যায় ৯.৪ ওভার। ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই ২৪ বলে ২৫ রান করা কোহলির উইকেট নেন ময়সেস হেনরিকস।

ঠিক পরের বলেই স্বদেশি হেনরিকসের দ্বিতীয় শিকার পরিণত হন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। ব্যাঙ্গালুরু ইনিংসে হেনরিকসের হামলা চলমান থাকে পরের ওভারেও। হেনরিকসের করা ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাড্ডিকাল। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৪০ রান।

ব্যাঙ্গালুরুর সংগ্রহ তখন ১১.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৩ রান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন ম্যাক্সওয়েল। এ দুজনের জুটিতে আসে মাত্র ৪০ বলে ৭৩ রান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ডি ভিলিয়ার্স খেলেন ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস।

ডি ভিলিয়ার্সের চেয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। দুই চার ও চারটি ছয়ের মারে মাত্র ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিন চার ও চার ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলসহ তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন মোহাম্মদ শামি।

বল হাতে পাঞ্জাবের সেরা পারফরমার হেনরিকস। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় নিয়েছেন টপঅর্ডারের তিন উইকেট। সমান তিন উইকেট গেছে মোহাম্মদ শামির ঝুলিতেও, তবে তিনি খরচ করেছেন ৩৯ রান।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ