মোহনপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ভিজিডির চাল নয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দারোয়ান মিলে গত ৬ মাস ধরে গরীবের চাল নিয়ে চালবাজি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তারা ৩০ কেজি বস্তায় ২ কেজি করে কম দিচ্ছেন। এছাড়াও নিন্মমানের চাল সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে ওই দুজনের বিরুদ্ধে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুস্থ অসহায় মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচীর (ভিজিডি) আওতায় দুই বছর মেয়াদী (২০১৭-২০১৮সাল) উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভায় এই কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে বেলা ১১ টায় চাল বিতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা ২ ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে (ভিজিডি) আওয়ায় ২৯৮ জন প্রত্যেক উপকারভোগীর (ভিজিডি) কার্ডের বিপরীতে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা রয়েছে। তবে ৩০ কেজির জায়গায় চাল দেয়া হচ্ছে ২৮ কেজি করে করে।
উপকারভোগীদের অভিযোগ, কিন্তু মোহনপুর খাদ্য গুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতাউর রহমান ও দারোয়ান আক্তার আলী লেবারদেরকে দিয়ে আগেই ভিজিডি’র ৩০ কেজির চালের বস্তায় ২ কেজি কম দিয়ে বস্তাবন্দি করে রাখেন। এ কারণে প্রতি বস্তায় দুই কেজি করে চাল কম হচ্ছে।
এছাড়াও ভালো চালের পরিবর্তে স্থানীয় চাল কালোবাজারিদের সাথে যোগসাজসে নিন্মমানের চাল সরববাহের করেন। ওই কেন্দ্রে উপকারভোগী রেজিয়া বেগম, সুফরা বেগম, লাইলী বেগম, রুনা বেগম, শাহিনা বেগম, জানান, চাল উত্তোলন করে তারা চালের বস্তা মুখ খুলে দেখেন চালের চাল মধ্যে পোকা নিন্ম মানের চাল ওই সময় তারা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে চেয়ারম্যান তাদের চাল বিতরণ বন্ধ করে তাৎক্ষণিক ইউএনও কে অবগত করে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বাবলু সিল্কসিটি নিউজকে জানান, মোহনপুর খাদ্য গুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতাউর রহমান ২৯৮ বস্তার মধ্যে তিনি শুধু ৩০ বস্তা ভালো মানের চাল দিয়েছেন। অবশিষ্ট চালের বস্তা অতি নিন্মমানের খাওয়ার অযোগ্য। যার ফলে অনেক উপকারভোগী চাল দেখে চাল না নিয়েই ফিরে গেছেন। নিন্মমানের চাল কেন তার পরিষদে পাঠালেন (ওসিএলএসডি) কাছে জানতে তিনি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে বলেন এই বারের মতো চালগুলো চালিয়ে নেন।
উপজেলা ভিজিডি কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা মহিলা বিয়ষক কর্মকর্তা ডালিয়া পারভীন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, নিন্মমাণের চাল বিতরণ অভিযোগ পেয়ে ওই কেন্দ্রে চাল বিরতণ বন্ধ করে চালের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। খাদ্যগুদাম হতে সরবরাহকৃত নিন্মমানের ৭২ বস্তা চাল জব্দ করে চেয়ারম্যান হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার-উল-হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স/শ